মিরপুর থেকে সিলেট, ভেন্যু বদলালেও বিপিএলে রানখরা বদলায়নি । প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানের বেশি হওয়ার ঘটনা মাত্র দুইটি । তবে আগে বল করে ম্যাচ জেতার ভাগ্য বদলেছে এবার । মনে হচ্ছিল, ঘরের মাঠে গ্যালারিভরা দর্শকের সামনে সিলেটেরও ভাগ্য বদলাবে । তারকাসর্বস্ব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে যে ১৩০ রানেই আটকে দিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু নিজেদের ডেরায়ও জয়ের দেখা পেলো না সিলেট। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় কুমিল্লার কাছে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেটে সন্ধ্যার ম্যাচে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। ৪ বলে ৮ রান করে বেন কাটিংয়ের বলে লেগ বিফোরে কাটা পড়েন লিটন দাস।
এরপর রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ইমরুল কায়েস। ১৪ রান করে রিজওয়ান আউট হলে, ২৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে তাকে সঙ্গ দেন কায়েস। এদিনও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ৮ বলে ৯ রান করে রান আউট হন এই তরুণ ব্যাটার।
৫ বলে ২ রান করে বুড়ো সামিত প্যাটেলের তৃতীয় শিকার হন রোস্টন চেস। খুশদিল শাহ ২২ বলে ২১ রান করে আউট হলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ম্যাথুউ ফোর্ড। শেষ পর্যন্ত জাকের আলী অনিকের ২৭ বলে ২৯ রানে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন সামিত প্যাটেল। দুই উইকেট শিকার করেন রিচার্ড এনগ্রাভারাম। এ ছাড়াও তানজিম হাসান সাকিব ও বেন কাটিং একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ২৮ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট স্ট্রাইকার্স। যার মধ্যে চার উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম। ৪ বলে শূন্য রান করে রান আউটের শিকার হন ওপেনার মোহাম্মদ মিথুন। ৪ রান করে বোল্ড আউট হন সামিত প্যাটেল।
আট বল খেলে মাত্র ১ রান করে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। এরপর আলিসের স্পিন ঘূর্ণি বুঝে ওঠার আগে শান্তর প্যাডে গিয়ে লাগে। ৫ বলে ৫ রান করে আউট হন এই টাইগার ব্যাটার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অজি ব্যাটার বেন কাটিংও। ৮ বলে ১ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। এরপর পিচে এসেই ফেরার পথ ধরেন অধিনায়ক মাশরাফী। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আলিসের চতুর্থ শিকার হন এই তারকা ক্রিকেটার।
তবে পিচের এক প্রান্ত আগলে রাখেন জাকির হাসান। ১৮ বলে ১৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাইয়ান বার্ল। ৩৪ বলে ৪১ রান করে জাকির আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট।এরপর তানজিম হাসান সাকিব (৪) এবং রিচার্ড এনগ্রাভারা ১ রানের আউট হলে ২২ বল হাতে থাকতেই মাত্র ৭৮ অলআউট হয় সিলেট। এতে ৫২ রানের জয় পায় কুমিল্লা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন আলিস আল ইসলাম। দুই উইকেট শিকার করেন রোস্টন চেজ। এ ছাড়াও ম্যাথিউ ফোর্ড, তানভীর ইসলাম ও খুশদিল শাহ একটি করে উইকেট নেন।