নাজিবুল্লাহ-দিপু ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম

ক্রিকেট দুনিয়া January 19, 2024 2,207
নাজিবুল্লাহ-দিপু ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে দিল চট্টগ্রাম

কথায় আছে ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস । মুলত নাজিবুল্লাহ জাদরানের তিনটি ক্যাচ ছেড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট । বিপিএল ২০২৪ আসরের ২য় ম্যাচে নাজিবুল্লাহ জাদরান ঝড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স কে ৭ উইকেটে হারালো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ।


শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৭ রান তোলেন সিলেটের দুই ওপেনার মিঠুন ও শান্ত। মিঠুন একপ্রান্তে ঝড় তুললেও শান্ত খেলছিলেন কিছুটা ধীরে। যদিও রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩০ বলে ৭ চারে ৩৬ রানে নিহাদুজ্জামানের শিকার হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর ২৮ বলে ৪০ রান করে কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকার হন মিঠুন।


এরপর তিনে নামা জাকিরের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। তাকে সঙ্গ দেন সিলেটের আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টর। বিপিএলের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে জাকির করেন অপরাজিত ৭০ রান। ৪৩ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। টেক্টর অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ২৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত হ্যারি টেক্টরের ২এবং জাকিরের ইনিংসে ভর করে দুই উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে নাহিদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট নেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় চট্টগ্রাম । ওপেনার তানজিদ হাসান সাজঘরে ফিরেন ৫ বলে ২ রান করে। অন্য পাশ আগলে রেখে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন আভিস্কা ফারনানদো । ২৩ বলে ৩৯ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি।


এদিন ব্যাট হাতে আলো ছাড়াতে পারেনি ইমরানুজ্জামানও। মাশরাফীর প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এতে দলীয় ৬০ রানে তিন উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে বন্দরনগরীর দলটি।


হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে পড়া চাপ থেকে চট্টগ্রামকে বের করেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। শুরুতে কিছুটা চাপে থাকলেও পরে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তারা।


দুজন মিলে ৬৮ বলে অপরাজিত ১২১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম। বিপিএল অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দীপু। ৪ চার ও সমান ছক্কার ইনিংসে ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন তিনি, ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৩০ বলে ৬১ রান করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।


সিলেটের হয়ে নাজমুল হাসান অপু, মাশরাফী মোর্ত্তজা ও রিচার্ড নাগাভারা একটি করে উইকেট নেন।