ভক্তদের প্রশ্ন, সব দোষই কি সাকিবের একার?

ক্রিকেট দুনিয়া January 9, 2024 647
ভক্তদের প্রশ্ন, সব দোষই কি সাকিবের একার?

মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। একজন ক্রিকেটার হিসেবে বিশেষতই তিনি একজন তারকাও বটে। তাঁকে চেনেন না, এমন মানুষ কমই আছে। তাঁকে পছন্দও করেন সবাই। তাঁকে সামনে পেয়ে সবাই ছবি তুলতে চাইবেন, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষের তো ধৈর্যের একটা সীমা থাকে।


এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে এমন সব ভিডিও। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন, কোনো সিনেমার শুটিং করতে নয় যে তাঁকে ঘিরে সারা দিন সেলফি তুলতে হবে, তাঁর অটোগ্রাফ নিতে হবে। সারা দিন রোদে রোদে ঘুরে ভোটের প্রচারণা চালিয়ে কারোরই হয়তো ধৈর্য থাকে না।


সাকিব আল হাসানও একজন স্বাভাবিক মানুষ। তাঁরও ধৈর্যের একটা বিষয় আছে। ভোটের দিন দেখা গেছে, তিনি একজনকে চড় মারছেন, এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল। আসলে ভিডিওটি নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট নয়।


সাকিব আল হাসানের যোগ্যতা অনুসারে আমরাই তাঁকে সেরা হিসেবে পরিচয় দিয়েছি। সেলফি বিষয়ে অবশ্যই তাঁর ধৈর্য ধারণ করা আর সম্ভব হচ্ছিল না। পরেও তাঁর সঙ্গে ছবি তোলা যেত। পরেও তাঁর সঙ্গে দেখা করা যেত। কারণ, তিনি ওই অঞ্চলকেই প্রতিনিধিত্ব করবেন। ছবি তুলতে এসে গায়ে পড়া, আঘাত দেওয়া—এসব কারণে তিনি বিরক্ত হচ্ছিলেন, যেটা স্বাভাবিক।


শুধু সাকিব আল হাসানের দোষ দিলে এটা একপক্ষীয় হয়ে যাবে। মুদ্রার অপর পিঠও দেখা উচিত। একতরফা একজনের নামে সমালোচনা করে তাঁকে ট্রল করার কোনো মানে হয় না। তিনি আগে রাজনীতি করেননি।


অতএব এসব রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ তাঁর না বোঝাটাই স্বাভাবিক। জনসাধারণেরও উচিত এসব বিষয় খেয়াল রাখা। তাঁকে তো তাঁর মতো করে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, তাই না?


তাঁকে যদি সেলিব্রিটি বা ক্রিকেটার ভেবেই বসে থাকেন, তাহলে তিনি জনগণের সেবা করবেন কীভাবে? তবে তিনিও ভবিষ্যতে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নয়, মাগুরাবাসীর নেতা হিসেবেও নিজের ধৈর্যের পরিচয় দেবেন বলে আশা করি।


লেখক: তামান্না ইসলাম, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।