অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম দুই টেস্ট হেরে সিরিজ আগেই হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান । তৃতীয় টেস্ট জিতে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ায় লজ্জার রেকর্ড বদলানোর আশা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু সিডনিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার কোন রান না করেই ফিরে যাওয়ায় শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় তারা। কিন্তু সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমানের পর আমের জামালের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩১৩ রানে।
প্রথম দিনের শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। এক ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রানে দিন পার করেছে দুই অজি ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। এক চারে ছয় রানে অপরাজিত আছেন ক্যারিয়ারে শেষ টেস্ট খেলতে নামা ওয়ার্নার।
সিডনিতে এমন দুর্বিষহ শুরু হবে এমনটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিক। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবকে রানের খাতা খুলতে দেননি জশ হ্যাজলউড। উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক শান মাসুদ ও বাবর আজম চাপ সামালের চেষ্টা করেন। দুইজনে যোগ করেন ৩৫ রান। ২৬ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন বাবর। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সউদ শাকিলও। তাতে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে পাকিস্তান।
৯৬ রানেই পাঁচ উইকেট নেই পাকিস্তানের। ৩৫ করে ফেরেন শান মাসুদ। এরপর আগা সালমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনে যোগ করেন ৯৪ রান। উভয়ই তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছে রিজওয়ানকে। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ৮৮ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান কামিন্স। এরপর একে একে ফেরেন সাজিদ খান (১৫), আগা সালমান (৫৩) এবং হাসান আলী (০)। তাতে ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এর পরেই শুরু হয় আমের জামাল ও মির হামজার প্রতিরোধ। নয়ে নামা আমের জামাল খেলেছেন অনবদ্য এক ইনিংস। অজি বোলারদের দাপটের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এই দুইজন। ২২.১ ওভার ক্রিজে থেকে এই দুজন যোগ করেছেন ৮৬ রান। জামাল তার ৮২ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ৯টি চার এবং চারটি ছক্কায়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন হামজা। ৪৩ বল খেলে করেছেন ৭ রান। নাথান লায়নের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া পাকিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আমের জামাল। অজিদের প্রথম ইনিংস কোথায় গিয়ে থামে সেটাই এখন দেখার।