আইপিএল মানেই খেলোয়াড়দের জন্য অর্থের ঝনঝনানি । কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হন ক্রিকেটাররা। আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড পারিশ্রমিকে বিক্রি হয়েছেন মিচেল স্টার্ক । মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, স্পেনসার জনসন, হর্ষল প্যাটেলসহ এবার আইপিএলে যেসব প্লেয়াররা বড় দাম পেয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন পেসার । এবার দুটি দল থেকে আইপিএল খেলার প্রস্তাব পেলেও বিসিবির আপত্তিতে কোনো দলের সঙ্গেই চুক্তি করেননি তাসকিন । আইপিএল খেলার সুযোগ পেলে কেমন দাম হতো তাসকিনের ?
আইপিএল নিলামের কয়েকদিন আগে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়। সেটা হচ্ছে, এবার থেকে আইপিএলে ওভারে দুটো করে বাউন্সার দেওয়া যাবে। এতদিন যেই সংখ্যাটা ছিল এক। দুটো বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম চালু হওয়ায় পেসারদের হাসি চওড়া হয়েছে। এরফলে পেসারদের ক্ষমতা অনেক বাড়বে। দুটো বাউন্সার চালু হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আর বেশি দেরি করেনি। নিলামের শুরু থেকেই তারা পেসার নিতে নেমে পড়ে। সেই হিসেবে তারা একেরপর এক জোরে বোলারকে রেকর্ড দামে দলে নেয়।
এটা স্পষ্ট যে এবছর পেস বোলাররা যে কোন আইপিএল আসরের নিলামের চেয়ে বেশি দাম পেয়েছে। সর্বোচ্চ দাম পাওয়া সেরা ৫ জন ক্রিকেটারের ৪ জনই পেস বোলার । সে ক্ষেত্রে বলা যায়, এ বছর আইপিএলে চওড়া মূল্য পেতেন তাসকিন । ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত, অন্তত ৫-১০ কোটি টাকায় বিক্রি হতেন তিনি ।
সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ দেশের এই স্পিডস্টার। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বোলিং অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন। সেখানে আইপিএলে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করায় কিছুটা হতাশার কথা শোনান তিনি।