

ঐতিহাসিক এই জয়ের পর কিউই ক্রিকেটাররাও বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বিশেষত টাইগার বোলারদের এমন নৈপুণ্য ধরে রাখলে দেশের বাইরেও নিয়মিত জয় পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। অন্যদিকে, ঘরের মাঠের কন্ডিশনকেও অচেনা মনে হয়েছে অধিনায়ক মিচের স্যান্টনারের কাছে।
এদিন নেপিয়ারে আগে ব্যাট করা স্বাগতিকদের মাত্র ১৩৪ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা ঝরেছে স্যান্টনারের কণ্ঠে। আর রান কম হওয়াকেই তিনি হারের বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের প্রশংসা করে স্যান্টনার বলেছেন, ‘অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। তারা ভালো খেলেছে। ১৫০-১৬০ সম্ভবত ভালো সংগ্রহ হতো। আমরা বল হাতে লড়াই করে চেষ্টা করেছি ম্যাচটাকে রোমাঞ্চকর করতে। কিন্তু ব্যাট হাতে কিন্তু পাওয়ার-প্লেতে আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছি।’
ম্যাচটিতে কিউইদের এমন সংগ্রহও হতো না, যদি শেষদিকে ব্যাট হাতে আলো না ছড়াতেন নিশাম। ২৯ বলে তিনি ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। যার কারণে অধিনায়কের প্রশংসা পেয়েছেন নিশাম। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরও প্রত্যয় জানিয়েছেন স্যান্টনার, ‘নিশাম ভালো খেলেছে। সে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করেছে। হার্ড লেংথে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। ক্রস ব্যাটে খেলা কঠিন ছিল। আশা করি, মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ভিন্ন উইকেটে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’
একইসঙ্গে নিজেদের কন্ডিশনকেও সমীহ করার কথা জানিয়েছেন নিশাম, ‘আমাদের সম্ভবত এই কন্ডিশনকে আরও একটু সমীহ করতে হবে। বলের মারাত্মক মুভমেন্ট আমরা দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে, আজকের প্রথম ৬ ওভারে এবং ওয়ানডেতেও (শুরুর দিকের ওভারগুলোতে)। নিউজিল্যান্ডে সাদা বলের ক্রিকেটে এমন কিছু দেখে আমরা আসলে তেমন অভ্যস্ত নই। এটা নিয়ে আমাদের সম্ভবত ছোটখাটো একটা আলোচনা করতে হবে।’
প্রথম ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। কিউইদের সঙ্গে পরবর্তী দুই ম্যাচে তারা আগামী ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে মুখোমুখি হবে।
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট









