নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের মাত্র ১৩৪ রানে আটকে রেখে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে ইতিহাস গড়ার মূল ভিত্তিটা তৈরি করে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত লিটন-মেহদীর দৃরতায় ৮ বল বাকি থাকতে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
শেখ মেহেদী ২০২২ সালেও টি২০ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। দুবাইয়ে এশিয়া কাপও খেলেছেন। তাঁকেই কিনা টি২০ বিশ্বকাপে নেওয়া হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না দেওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাক্ষাৎকার দিয়ে। সে সময় বিসিবি তাঁকে নিষেধাজ্ঞা না দিলেও জাতীয় দলে বিবেচনা করেনি লম্বা সময়।
এ বছর এমার্জিং এশিয়া কাপে ভালো খেলায় ওয়ানডে দলে ডাকা হয়। এশিয়া কাপের পর খেলেন বিশ্বকাপে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নজরে পড়ায় টি২০ দলেও নেওয়া হয় তাঁকে। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচেই কিনা বাজিমাত করলেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। যে ওশেনিয়া অঞ্চলের কন্ডিশনকে অজুহাত বানিয়ে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়নি সেখানেই কিনা নতুন করে আত্মপ্রকাশ শেখ মেহেদীর।
১৬ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে তিনি নিয়েছিলেন গুরুত্বপুর্ন দুটি উইকেট। টিম শেইফার্ট আর ড্যারেল মিচেলকে বোল্ড করে কিউই ইনিংসের শুরুতেই কাঁপন ধরিয়ে দেন শেখ মেহেদী।
এরপর ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যখন ম্যাচ হারার শঙ্কায় টাইগাররা, ঠিক তখনই ক্রিজে আসেন শেখ মেহেদী। এবার ব্যাট হাতেও ঝলক। লিটন দাসকে নিয়ে ২৫ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি । শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন । যে ইনিংসে হাঁকান একটি করে চার-ছক্কা।
ব্যাটে বলে দুর্দান্ত পারফরমেন্সে সাকিবের অভাব পূরন করেছেন শেখ মেহেদী, পুরুষ্কার হিসেবে জিতেছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ । নিজের ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘যখন আমি ভালো বোলিং করি, তারপর ব্যাটিংয়ের সময়ও সেটা আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয়। আমি সবসময়ই আমার ব্যাটিং উপভোগ করি।’
নেপিয়ারে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটাও জিতে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল শুভসূচনা করেছে।