সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের জবাবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বুধবার একই মাঠে ব্যাটিং দুর্দশায় পড়ে হার মানলো তারা। ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরালো ইংল্যান্ড।
স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না। ৪০ ওভারেরও কম খেলে ২০২ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটিতে ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকস শুরুতে ঝড় তুলে তাদেরকে আরও চেপে ধরেন।
ষষ্ঠ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৫০ রান তুলে ভাঙে এই জুটি। ২১ রানে বিদায় নেন সল্ট। পরে জ্যাক ক্রলি (৩) ও বেন ডাকেট (৩) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
৭২ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৭৩ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে থামেন জ্যাকস। তাকে ফিরিয়ে জয়ের ক্ষীণ আশা জাগায় উইন্ডিজ। তখনও ইংল্যান্ড জয় থেকে ৮৭ রান দূরে।
জস বাটলার নেমে কিছু বল দেখেশুনে খেলেন। তারপর সাবলীল ব্যাটিং করলেন। ইঙ্গিত দিলেন ফর্মে ফেরার। ৪৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় হাফ সেঞ্চুরি করা হয়নি হ্যারি ব্রুকের। ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ৯০ রানের। মাত্র ৩২.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে ইংল্যান্ড।
টপ অর্ডার ও টেল এন্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুর স্পেলে দুই ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে তাদের ব্যাটিং লাইনে বড় আঘাত করেন স্যাম কারান। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তারপর শাই হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ড ১২৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ৩০তম ওভারে ১৫২ রান তুলে ভেঙে যায় এই জুটি। তারপর শুরু ব্যাটিং ধস। ৫০ রানের ব্যবধানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
ইনিংস সেরা ৬৮ রান করেন হোপ। ৬৩ রান আসে রাদারফোর্ডের ব্যাট থেকে।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন