সিরিজের প্রথম ম্যাচে গতকাল অ্যান্টিগায় ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে উইন্ডিজ। ইংলিশদের ছুড়ে দেওয়া ৩২৬ রানের লক্ষ্য হোপের ৮৩ বলে ১০৯* রানের ইনিংসে ভর করে ৭ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
শেষ ১০ ওভারে জেতার জন্য ১০৬ রান দরকার ছিল উইন্ডিজের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কঠিন এই পথ দারুণভাবে পাড়ি দেন অধিনায়ক হোপ। ২৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন রোমারিও শেফার্ড। ৪৯তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন হোপ।
এর আগে বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইন্ডিজকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার অ্যালিক আথানাজ ও ব্র্যান্ডন কিং। দুজনে মিলে ওপেনিং জুটিতেই তোলেন ১০৪ রান। তবে ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারই ফিরে গেলে চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ফিফটি হাঁকানো আথানাজ আউট হন ৬৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে। ৪৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্র্যান্ডন কিং।
এরপর কেসি কার্টি ফিরে যান মাত্র ১৬ রান করে। চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার হোপ ও শিমরন হেটমায়ার। দুজনে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। হেটমায়ার ৩২ করে আউট হন। শেরফান রাদারফোর্ড ৬ রান করে ফিরলেও উইন্ডিজের জয়ের পথটা সহজ হয় রোমারিও শেফার্ডের ২৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে। বাকি কাজটা সারেন হোপ। শেষদিকে স্যাম কারানের উপর ঝড় বইয়ে দিয়ে আদায় করে নেন সেঞ্চুরি। মাত্র ৮৩ বলে ৪ চার ও ৭ ছয়ে ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন হোপ। ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন আলজারি জোসেফও।
ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন গুস অ্যাটকিনসন ও রিহান আহমেদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ব্রেডন কার্স ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ফিল সল্ট ৪৫, জ্যাক ক্রলি ৪৮, হ্যারি ব্রুক ৭১ রান করেন। শেষ দিকে স্যাম কারেন ৩৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩১ রান করে দলকে ৩০০ পার করান। ৫০ ওভারে ৩২৫ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের হয়ে রোমারিও শেফার্ড, গুডাকেশ মোতি ও ওশেন থমাস ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ইয়ানিক কারিয়াহ এবং আলজারি জোসেফ শিকার করেন ১টি করে উইকেট।