ডিআরএসের জন্য বোলাররা আবেগপ্রবন হয়ে যায়

ক্রিকেট দুনিয়া December 2, 2023 2,171
ডিআরএসের জন্য বোলাররা আবেগপ্রবন হয়ে যায়

গেল পাঁচদিন সকাল থেকে বিকাল, আশে-পাশে কাটিয়েও সিলেটের উইকেটের মন বোঝতে ব্যর্থ হন ক্রিকেটাররা। ১৩ সেশনে মোট ১৫ বার ডিআরএস চেয়েছে দুই দলের অধিনায়ক। আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সফলতা আসে কেবল পাঁচবার। আরও পরিষ্কার করে দেখলে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিং ইনিংসে ৪ বার ডিআরএস নিয়ে ৩ বারই হয়েছেন ব্যর্থ। শান্ত যে বোলারদের চাপে পড়ে কয়েকবার রিভিউ নিয়েছেন, তা বোঝা যায় তার কথাতে। অধিনায়কের মতে, এখানে ক্রিকেটারদের করতে হবে আরও উন্নতি।


ম্যাচের আগে উইকেট নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন দুই অধিনায়ক। সিলেটের উইকেটের আচরণ নিয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরও খোলাসা হয়নি কিছু। তবে এই সিলেটেই যে টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। টেস্টের পঞ্চম দিন সকালের সেশনে এসে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।


ম্যাচ শেষে এসে, বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন তার জন্য কতটুকু কঠিন ছিল দলের বোলারদের সামলানো। এরপর রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রেও যে তাকে নিতে হয়েছে কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। ডিআরএস বা রিভিউ (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেওয়ার ইস্যুতে ক্রিকেটারদের চিন্তায় আরও উন্নতি চান অধিনায়ক শান্ত,


‘স্বাভাবিকভাবে সব বোলারই একটু ইমোশনাল ডিসিশন নেয়। সব বোলারই, শুধু আমাদের বোলাররা না। ওরা চেষ্টাই করে যে কীভাবে অধিনায়ককে কনভিন্স করা যায়। এই জায়গায় অনেক উন্নতি করার জায়গা আছে। আগের থেকে আমরা অনেক ভালো করছি আমার মনে হয়েছে। সামনে আরও ভালো হবে আশা করছি।’


টাইগার বোলারদের নেওয়া মাত্র ২৫ ভাগ ডিআরএস সফল প্রমাণিত হয়েছে। অন-ফিল্ড আম্পায়াদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চারবারের মধ্যে কেবল একবার জিতেছেন তারা। এই ইস্যুতে অধিনায়কের অসন্তুষ্ট হওয়ারই কথা। শান্তও হয়েছেন, তবে তিনি উন্নতিরও কথা বলেছেন জোর দিয়ে।


সাকিবের অনুপস্থিতিতে টেস্ট দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েই বাজিমাত করলেন শান্ত। তার অধীনেই হোমে বাংলাদেশ পেল কিউইদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়। এর আগে বিশ্বকাপ ও নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজেও অধিনায়ক হয়েছিলেন তিনি। তাই অধিনায়কত্ব নতুন কিছু নয় এই বা-হাতি ব্যাটারের কাছে।


অধিনায়কত্বের প্রথম টেস্টে, সিলেটের মতো ‘অজানা’ কন্ডিশনে বোলারদের সামলানো, রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠে সংবাদ সম্মেলনে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বললেন,


‘ডিআরএস আসলে এই কন্ডিশনে খুবই কঠিন। আম্পায়ারদের জন্যও অনেক কঠিন। বল ঘুরতেসে আবার সোজা যাচ্ছে। এই কন্ডিশনে সব দলের জন্যই কঠিন।’