সাকিব আল হাসান খেললে সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিঃসন্দেহে তিনিই থাকতেন অধিনায়ক। এখনো কাগজে কলমে যে সাকিবই বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। তবে সাকিব না খেলায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হয়েই শান্ত ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়।
টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পাওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হলেন শান্ত। ২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির নেতৃত্বে ২০০৯ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারানোর সাড়ে চার বছর পর টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পায় বাংলাদেশ। মাশরাফির পর সাকিব এমন কীর্তি গড়েন ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিতেছিল ৪ উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো টেস্টে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়ে।
মাশরাফি, সাকিবের পর এই তালিকায় যোগ হয়েছেন লিটন দাস। এ বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন লিটন। তাঁর নেতৃত্বের অভিষেকেই মিরপুরে আফগানদের ৫৪৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রানের দিক দিয়ে নিজেদের ইতিহাসে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এটাই। মিরপুর টেস্টের সাড়ে পাঁচ মাস পর আজ সিলেটে শান্তর নেতৃত্বে ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়কত্বের অভিষেকে প্রথম সেঞ্চুরির কীর্তিও গড়েন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানের আগে প্রথম ইনিংসে ৩৭ রান করেছেন শান্ত। অধিনায়কত্বেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা:
১. মাশরাফি বিন মর্তুজা; প্রতিপক্ষ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ফল: বাংলাদেশ ৯৫ রানে জয়ী; ভেন্যু: কিংসটাউন; ২০০৯
২. সাকিব আল হাসান; প্রতিপক্ষ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ফল: বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয়ী; ভেন্যু: সেন্ট জর্জেস; ২০০৯
৩. লিটন দাস; প্রতিপক্ষ: আফগানিস্তান; ফল: বাংলাদেশ ৫৪৬ রানে জয়ী; ভেন্যু: মিরপুর; ২০২৩
৪. নাজমুল হোসেন শান্ত; প্রতিপক্ষ: নিউজিল্যান্ড; ফল: বাংলাদেশ ১৫০ রানে জয়ী; ভেন্যু: সিলেট; ২০২৩