প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ৩১০ থেকে এখনো ৪৪ রান দূরে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটা ব্যাট করে ৮ উইকেটে তুলেছে ২৬৬ রান। এই ৮ উইকেটের সাতটিই নিয়েছে স্পিনাররা। সবচেয়ে সফল তাইজুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তাকেই প্রত্যাশা করাই ছিল স্বাভাবিক। তবে তাইজুল নয়, এলেন স্পিনারদের গুরু রঙ্গনা হেরাথ। আসলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ তার। রাতেই দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরবেন শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা স্পিনার। তার আগে এলেন এলেন সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে।
কথায় কিছুটা জড়তা। বিদায় বেলায় কিছুটা আবেগতাড়িত হেরাথ বললেন, 'বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনেক অনেক অভিজ্ঞতা।' দিনশেষে তার মেজাজটাও ছিলো ভালো। কারণ ছাত্ররা নিজেদের কাজটা করেছেন ঠিকঠাক ভাবেই। তাইজুল— নাঈমের প্রশংসায় এই লংকান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন তিনি।
তাইজুলের ক্যাচ ছাড়ার প্রভাব কতটা পড়েছে, সেটা জানান তিনি, ‘অবশ্যই। এভাবে ক্যাচ ছেড়ে দিলে তো মূল্য চুকাতে হবে। যেমন উইলিয়ামসনেরটা। সুযোগ পেয়ে সে ৬০-৭০ রান বেশি করেছে। আমাদের এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
এ সময়ের অভিজ্ঞতায় অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান তিনি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কোচ হিসেবে অনেক কিছু শেখার ছিল। একইভাবে আমি আমার অভিজ্ঞতা ছেলেদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি। প্রতিটি দিনই শেখার। আশা করছি তারা আমার কাছ থেকে কিছু না কিছু নিয়ে এর চর্চা করবে। ’
গেল কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। সেখান থেকে আবারো ঘরের মাঠে হাথুরুসিংহের পুরনো কৌশল এক পেসার নীতিতে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে হেরাথের উত্তর, কন্ডিশন ডিমান্ড। সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ছাড়ার আগে জানালেন, 'ম্যাচটা জেতা সম্ভব'।
সূত্রঃ ঢাকা মেইল