আইপিএলে প্লে-অফে যেতে বড় জয়ের সঙ্গে রান রেটের বিষয়টাও মাথায় রাখতো হতো রাজস্থানের । এমন সমীকরণের ম্যাচে ২ বল হাতে রেখে শুধু জয়টাকেই নিশ্চিত করতে পেরেছে রাজস্থান। ৪ উইকেটে জিতে পাঞ্জাবকে বিদায়ের পথ দেখিয়েছে তারা। তাতে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকলেও এখন সেটা নিজেদের হাতে নেই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পঞ্জাবের । নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শিখর ধওয়ানের দল। ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে যায় পঞ্জাবের।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দেন জিতেশ শর্মা ও সাম কারেন। ১৪ তম ওভারে ১১৪ রানের মাথায় আউট হন জিতেশ। ২৮ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। জিতেশ আউট হওয়ার পর শেষ দিকে ঝড় তুলে পঞ্জাবকে বড় রানে পৌঁছে দেন সাম কারেন ও শাহরুখ খান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান করে পঞ্জাব। ৩১ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কারেন। অনদিকে, শাহরুখ খান ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পঞ্জাবের হয়ে নভদীপ সাইনি ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় রাজস্থান রয়্যালস। খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন বাটলার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দুরন্ত ব্যাটিং করেন জয়সওয়াল ও দেবদূত পাড়িকল। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা । ৮৫ রানের মাথায় ৫১ রান করে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। দেবদূত ফিরতেই দলিয় ৯০ রানে মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন সঞ্জু স্যামসন ।
এরপর জয়সওয়াল ও শিমরন হেটমায়ার দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। শুরু থেকে মারকাটারি ব্যাটিং করেন হেটমায়ার। ১৩৭ রানের মাথায় ৩৬ বলে ৫০ করে আউট হন জয়সওয়াল। হেটমায়ার ও রিয়ান পরাগ মিলে দ্রুত গতিতে রান এগিয়ে নিয়ে যান। ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন হেটমায়র ও ১২ বলে ২০ করে রিয়ান পরাগ। দুজনেই আউট হলেও জয়ের দোরগোরায় পৌছে দিয়েছিলেন দলকে। ধ্রব জুরেল ২ বল বাকি থাকতে ছয় মেরে দলকে জয় এনে দেন।
মুম্বাইকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের ৫ম স্থানে আছে রাজস্থান !!