বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রংপুর।
ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার মিরাজ ও আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বরিশাল। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৬ রান। একপ্রান্তে ঝড় তোলেন মিরাজ। তবে আরেক ওপেনার ফ্লেচার ছিলেন নিষ্প্রভ। রংপুরের স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এই ক্যারিবীয় ব্যাটার ১৬ বলের মোকাবিলায় করেন ১২ রান।
তবে তিনে নেমে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ। তাদের জুটিতে আসে ৬৯ রান। দলকে ১১৫ রানে রেখে রংপুরের লঙ্কান পেসার শানাকার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ২১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর রানের চাকা কিছুটা ধীরগতির হয়ে পড়ে।
চাপ সামলাতে গিয়ে শানাকার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৪৮ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৯ রান করা মিরাজ। শেষদিকে শানাকা ও ব্র্যাভোর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপের মুখে পড়ে বরিশাল। তবে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত।
শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া লঙ্কান অলরাউন্ডার ভানুকা রাজাপক্ষে ১০ বলে করেন ১৭* রান। বল হাতে রংপুরের শানাকা ২ উইকেট এবং রাকিবুল ১ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল রংপুর রাইডার্স। সাকিব আল হাসানের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ‘ডাক’ মারেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। এরপরই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন রনি তালুকদার এবং শামীম পাটোয়ারী। পাওয়ারপ্লেতে ওঠে ৫৫ রান। ৩৮ বলে ৬১ রানের এই জুটি ভাঙে ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৯ রান করা রনি তালুকদারের বিদায়ে। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে ক্যাচ নেন সানজামুল।
রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৩ বলে ১৮ রান করে সাকিব আল হাসানের শিকার হন। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। নিজের ছায়া হতে থাকা নিকোলাস পুরান ৮ বলে ৫ রান করে খালেদ আহামেদের বলে সাকিব আল হাসানের তালুবন্দি হন। জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। হাতে ৬ উইকেট। এমন সময় খালেদ আহমেদের বলে শামীম হোসেন ক্যাচ দিয়ে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর।
শামীমের ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার-ছক্কা। উইকেটে এসে ঝড় তোলেন দাসুন শানাকা। তবে ডিজে ব্র্যাভো ব্যর্থ হন। রাব্বির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২ রানে। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৮ রানের। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা প্রথম বলে শানাকা সিঙ্গেল নিলে পরের বলেই দারুণ স্কুপ শটে বাউন্ডারি আদায় করেন শেখ মেহেদি। তৃতীয় বলে আরেকটি বাউন্ডারি মেরে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন মেহেদি। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৮* রানে। অন্যদিকে শানাকা ১২ বলে ১৫* রানে অপরাজিত থাকেন।
সূত্রঃ বাংলাওয়াশ ক্রিকেট/ কালের কন্ঠ