বিপিএলে লিগ পর্বের খেলা বাকি দুইটি। এরপর একটি এলিমিনেটর, দুইটি কোয়ালিফায়ার ও সবশেষে ফাইনাল। শেষ চারটি ম্যাচের জন্য বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) ব্যবস্থা করেছে।
বিপিএল শুরুর আগে ডিআরএস প্রক্রিয়ার যন্ত্রপাতি চলে এসেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ডিআরএস চালানোর টেকনিশিয়ান পায়নি বিসিবি। এজন্য বিপিএলের প্রথম পর্বে ব্যবহার করা হচ্ছিল এডিআরএস। যা ডিআরএস প্রযুক্তি আসার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহার করা হতো।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এই এডিআরএস একেবারেই মূল্যহীন। কারণ এডিআরএসে ছিল না বল ট্র্যাকিং, ছিল না হক আই, স্নিকো বা ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা। টুর্নামেন্ট জুড়ে এডিআরএস নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। গণমাধ্যমে এডিআরএস নিয়ে সমালোচনায় করায় শাস্তিও পেতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে ডিআরএসের ব্যবস্থা করতে না পারলেও শেষ চার ম্যাচে তা থাকছে। এজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। ম্যাচ প্রতি গুনতে হবে প্রায় ১৬ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৬ লাখ টাকার মতো। সে হিসেবে প্লে-অফের চার ম্যাচের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ৬৪ হাজার ডলার বা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার ডিআরএস টেকনিশিয়ানরা চলে এসেছেন ঢাকায়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন বলেছেন, ‘এখানে অর্থের কোনো ইস্যু নেই। আমরা যখন ডিআরএস সম্পর্কে জানতে পেরেছি, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসির বাণিজ্যিক প্রধানের সাথে কথা বলেছি। কারণ ডিআরএস কোম্পানির সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে তার। আমি অন্যান্য বোর্ডের সাথেও যোগাযোগ করেছি কিন্তু এই মুহূর্তে তারা ব্যস্ত।’
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪