চট্টগ্রামের সাগরিকায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করেছে রংপুর টাইগার্স। খুলনার দেওয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তিন বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শোয়েব মালিক। খুলনার হয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ।
দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই তামিম ইকবালকে হারায় খুলনা। মাত্র ১ রান করেন তামিম। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমানও এদিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি, ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। মাঝে শারজিল খানও ফেরেন ১২ রান করে। ফলে মাত্র ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।
সেখান থেকে অধিনায়ক ইয়াসির আলীকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খান। তাদের ৫৮ রানের জুটি ভাঙে ২৫ রান করে ইয়াসির আলী বিদায় নিলে। তার পথ ধরে খানিক সময়ের মাঝে সাজঘরে ফিরেন সাব্বির রহমান ও আজম খানও।
আজম খান ৩৪ ও সাব্বির ফেরেন মাত্র ১ রান করে। ৪ রান করে এক ওভার পরেই তাদের সঙ্গী হন আমাদ বাটও। খুলনার স্কোরবোর্ডে তখন ১৪.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৯১ রান। তবে সাইফুদ্দীন ও নাহিদুল ইসলামের জুটিতে তিন অংকের ঘরে পৌঁছায় খুলনার ইনিংস।
তাদের জুটি থেকে আসে ৩২ রান। সাইফুদ্দীন ২২ ও নাহিদুল করেন ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে মাত্র ১৩০ রানেই অলআউট হয় খুলনা। রবিউলের ৪ উইকেট শিকারের পাশাপাশি দুটো করে উইকেট শিকার করেছেন রাকিবুল হাসান, হাসান মাহমুদ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে রংপুর রাইডার্স। ফিলিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মাত্র ১ রান করে ফেলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকার রনি তালুকদার। এরপর দলীয় ২২ রানের মাথায় ১২ বলে ১৪ রান করে ফেলেন শেখ মাহাদী হাসান।
ওপেনিং ছেড়ে মিডিল অর্ডারে ব্যাটিং নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২২ বলে ২১ রান করে নাসুম আহমেদের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট / বাংলাওয়াশ ক্রিকেট