মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৪৯ রানের পুজি পায় দিল্লি ক্যাপিটালস !!
এবারও গত ম্যাচের মতো মোস্তাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন দিল্লি অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। প্রথম ওভারে বল হাতে পেয়ে একটি ওয়াইডসহ মুস্তাফিজ দেন ৫ রান ।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যানরিচ নরকিয়ার ১৯ রান দিলে কঠিন চাপের মুহূর্তে ফের মোস্তাফিজকে ডাকেন পান্ত । এবার আরও ভালো বল করেন কাটার মাস্টার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে একটি ওয়াইডসহ মাত্র ৩ রান খরচ করেন তিনি।
এরপর মোস্তাফিজ দ্বিতীয় স্পেল যখন বল করতে আসেন, ম্যাচ তখন অনেকটাই হাত থেকে ছুটে গেছে দিল্লির । তখন ২৪ বল থেকে লক্ষ্ণৌর দরকার ২৮ রান, হাতে উইকেট ৭টি। এবারও কিছুটা আশা তৈরি করেন এই বাঁহাতি পেসার। এই ওভারেও দারুণ বোলিংয়ে চারটি সিঙ্গেল থেকে মুস্তাফিজ দেন কেবল ৪ রান।
১২ বলে যখন প্রয়োজন ১৯ রান তখন ১৯তম ওভারে প্রথম দুই বলে দুই রান দেয়ার পর তৃতীয় বলে হজম করেন ছক্কা। পরের তিন বলে আরও ছয় রান। এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দিল্লি।
সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে টাইগার পেসার ছিলেন উইকেটশূন্য।
শার্দুল ঠাকুরের শেষ ওভারে আয়ুস বাদোনি এক ছক্কা আর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে । ৬ উইকেটের জয় পায় লখনউ সুপার জায়েন্টস !!
লক্ষ্ণৌর জয়ের নায়ক কুইন্টন ডি কক। ৫২ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।
ব্যাটিংয়ে নেমে পৃথ্বী শর দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৮ রান তোলে দিল্লি। কিন্তু পৃথ্বী ৩৪ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেওয়ার পর কমে যায় রানের গতি।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক রিশাভ পান্ত (৩৬ বলে ৩৯) ও সরফরাজ খানের (২৮ বলে ৩৬) ৫৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে দেড়শ রানের লক্ষ্য দিতে পারে দিল্লি।