মেহেদী হাসানের করা বিসিবি সাউথ জোনের ১০০তম ওভারের তৃতীয় বল মিড অনের দিকে ঠেলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার আগে সেঞ্চুরির দেখা পান শুভাগত হোম চৌধুরী। দুজনের রান উৎসবে লিড নেয় ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। সাউথ জোন দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে এখনো পিছিয়ে আছে ৮ রানে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিএল ফাইনালের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান করে সাউথ। ওয়ালটন সেন্ট্রাল প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছিল ৫১ রানের। সাউথের দুই ব্যাটসম্যান অমিত হাসান ২০ ও ২২ রানে পিনাক ঘোষ ক্রিজে ছিলেন। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে শূন্য রানে ফিরিয়েছেন হাসান মুরাদ।
হাতে এখনো দুই দিন বাকি। সাউথকে যত কম রানে আটকে দেওয়া যাবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ তত বাড়বে ওয়ালটন সেন্ট্রালের। আর যদি ড্র হয় তাহলে ট্রফি ভাগাভাগি হবে।
এর আগে ৬৭ রানে দিন শুরু করে সেঞ্চুরি তুলে নেন শুভাগত, আর মিঠুন ১০২ রান নিয়ে দিন শুরু করে পেরিয়ে যান দুইশর ঘর। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি শুভাগত। ২১৯ বলে ১১৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন তিনি ১৮৬ বলে ১৬টি চারে। এটি চলতি বিসিএলে শুভাগতের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেশনের শেষ দিকে তিনি ফিরলেও মিঠুন ছিলেন অবিচল। ১৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর তাদের ২৮৩ রানের জুটি ওয়ালটন সেন্ট্রালকে ম্যাচে ফেরায়।
মধ্যাহ্নবিরতির পর এসে মিঠুন ডাবল সেঞ্চুরি করেন। ওপেনিংয়ে নেমে ২৮৭ বলে ২৭ চার ও তিনটি ছক্কায় এই কীর্তি গড়েন তিনি। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিঠুনের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৮৬। চলতি বিসিএলের প্রথম ম্যাচেই ১৭৬ রান করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত মিঠুন আউট হয়েছেন ৩০৬ বলে ২০৬ রান করে। বিসিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় তিনি আবার ডাক পেতে পারেন জাতীয় দলে। আজ এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘মিঠুন ক্যারিয়ার শুরু করেছে ওপেনার হিসেবে। পরে একটা লম্বা সময় ধরে মাঝখানে ব্যাটিং করেছে। ও আবার ওপেনিংয়ে ফিরে এসেছে। আমার মনে হয় এটা ওকে সাহায্য করছে, ও পরবর্তীতে যখন জাতীয় দলে... যদি ডাক পায় তখন ওপেনিং করবে নাকি মাঝে ব্যাটিং করবে সেটা তো আমাদের চিন্তা ভাবনায় আছে। কিন্তু এখন দুটি রাস্তা খোলা আছে- হয় মিডল অর্ডার নয়তো ওপেনিং। সে এখন খুব ভালো ব্যাটিং করছে। আমাদের একটা জায়গা খুলে দিয়েছে, যেখানে আমরা ওকে যে কোনো পজিশনে খেলাতে পারব।’
শুভাগত-মিঠুন ফিরলেও সাউথের ৩৮৭ রান টপকে লিড পেতে সমস্যা হয়নি। জাকের আলী অনিক (৫৩) ও রবিউল হকের (৩৪) ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪৩৮ রানে থামে ওয়ালটন। সাউথের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট করে নেন ফরহাদ রেজা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।