আশরাফুলকে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার বলায় বিপদে নান্নু

ক্রিকেট দুনিয়া January 3, 2022 1,904
আশরাফুলকে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার বলায় বিপদে নান্নু

দুজনেই সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ দলের। নিজেদের সময়ে দেশের ক্রিকেটকে সর্বোচ্চটা দিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও মোহাম্মদ আশরাফুল। ক্লাব ক্রিকেটে এক দলের হয়েও খেলেছেন দুজনে, তবে সময়ের বিবর্তনে একজন এখন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচকের ভূমিকায়, আরেকজন কুল হারিয়ে ছুটছেন দিক-বেদিক।


সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আশরাফুল বলেছিলেন, ‘নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের মেয়াদ ৩ থেকে ৪ বছর হলে ভালো হয়। কারণ দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচক প্যানেল দিয়ে ক্রিকেটে সুফল ফেরানো সম্ভব নয়।’


জবাবে নান্নু আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী ও ফিক্সার’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আশরাফুলের এই কথার সঙ্গে আমি একটা জিনিস যুক্ত করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রধান নির্বাচক কত বছর কাজ করেছে ওর বোধহয় ধারণা নেই। প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একটানা কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়া কি ক্রিকেট থেকে পিছিয়ে গিয়েছে? ওর তো বোঝার কথা না। যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, ওদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করা কঠিন।’


সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে প্রকাশ্যে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার বলায় আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ওপর অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে আশরাফুলকে দেশদ্রোহী ও ফিক্সার বলে আখ্যায়িত করেন নান্নু। এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে নান্নুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান আশরাফুল। আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেহেতু আশরাফুল এখন বর্তমান খেলোয়াড় আর সাবেক একজন অধিনায়ক, আমি মনে করি সরাসরি এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। আমি শুনেছি এটা। এটা নিয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমরা এটা নিয়েও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আলাপ করব।’


জালাল জানালেন, তার বিভাগের অধীনে থাকা নির্বাচক প্যানেলের প্রধানের এমন বক্তব্য নিয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করা হবে, ‘কারও ব্যাপারেই এভাবে আক্রমণ করা ঠিক না। আপনি একটা পদে আছেন বোর্ডে। ঐ জায়গা থেকে এমন মন্তব্য না করাই ভালো ছিল। যেহেতু নির্বাচক কমিটি ক্রিকেট অপারেশন্সের অধীনে, আমি এটা নিয়ে আজকেও তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। দেখা যাক। আমি এটা বোর্ড সভাপতির সাথে আলাপ করব।’


সামনেই বিসিএলের ওয়ানডে ফরম্যাট, যেখানে চারটি দলের স্কোয়াড সাজাবেন নির্বাচকরাই। আশরাফুল তার লাইভে দাবি করেছিলেন, নান্নুর কারণেই তিনি জাতীয় দলে ফিরতে পারছেন না। বিসিএল বা অন্য কোনো খেলার দল গঠনে ব্যক্তিগত এই দ্বন্দ্বের জের কাজ করবে কি না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে নিরপেক্ষতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন জালাল।


তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ ভিকটিম হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই আসবে।’