হাতের মুঠোয় পাওয়া সুযোগ কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা করে দেখালেন পেসার আবু হায়দার রনি। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের পেসার ৫ উইকেট নিয়ে নিজের ফেরা রাঙিয়েছেন।
পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন রনি। ধ্রুপদী বোলিংয়ে প্রথম দিনের লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছেন ওয়ালটনকে। তার বোলিং তোপে ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ২৪৫ রানে গুটিয়ে যায়। রনির সঙ্গে আরেক পেসার রবিউল হক পেয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া স্পিনার হাসান মুরাদের পকেটে গেছে ৩ উইকেট।
সবুজাভ উইকেট দেখে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি ওয়ালটনের অধিনায়ক শুভাগত হোম। পেসাররাও তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন। শুরুর সুবিধা কাজে লাগিয়ে আর্লি ব্রেক থ্রু পায় ওয়ালটন। পেসার রবিউলের আউটসুইংয়ে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আশরাফুল (১) । অবশ্য উইকেট নেওয়ার সুযোগটা রনিই প্রথম তৈরি করেছিলেন। আশরাফুল তার বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে তৃতীয় স্লিপে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন। কিন্তু বল তার হাতে জমেনি।
তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে লড়াই করেন ইসলামী ব্যাংকের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তাদের ব্যাটে প্রতিরোধ পায় দলটি। এ সময়ে আলগা বলে নিয়মিত ব্যবধানে বাউন্ডারি হজম করে ওয়ালটনের বোলাররা। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে রবিউল আবার ওয়ালটনকে এগিয়ে নেন। ইমরুল তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৩২ রানে।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ওয়ালটন আরও ২ উইকেট পায়। প্রথম স্পেলে উইকেটশূন্য থাকা রনি দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে আউট করেন ইরফান শুক্কুরকে। বাঁহাতি পেসারের বল কাট করতে গিয়ে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন ইরফান। এবারও শুভাগতর হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায়। প্রথম স্লিপে থাকা সালমান বল তালুবন্দি করেন। আফিফ ক্রিজে আসেন আর বিদায় নেন। মুরাদের বল এগিয়ে এসে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
দ্বিতীয় সেশনে ওয়ালটন পায় ২ উইকেট। ওয়ালটনের জন্য বিপদ হয়ে উঠার আগে হাসান মুরাদ আউট করেন দিপুকে। তার আর্ম ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৭২ রানে। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাদীফ চৌধুরীকে ফেরান রনি। শরীরের ওপর তাক করা এক শর্ট বলে গ্লাভস ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাদীফ।
বিরতির আগে রনি যেখানে রেখে গিয়েছিলেন বিরতির পর সেখান থেকেই শুরু করেন। ইসলামী ব্যাংকের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান প্রিতম কুমার তার সোজা বল খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর শেষ ২ উইকেট নিয়ে ফাইফারের কোটা পূরণ করেন রনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন এ পেসার।
বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকলেও বেহিসেবি রান খরচ করেছেন রনি। ২০.৫ ওভারে রান দিয়েছেন ৯৩টি। মেডেন ছিল ৫টি। বোলিং ইকোনমি ৪.৪৬। তার বোলিংয়ে ১৪টি বাউন্ডারি এসেছে। বাকি ৫ বোলার হজম করেছেন ১৭টি।
ইসলামী ব্যাংককে অলআউট করে শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়ালটন। ১ ওভারে ৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও মিজানুর রহমান। আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা ৮ মিনিট আগে শেষ হয়।