তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে উইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ২০৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৭ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে পাওয়া জয়।
এমন জয় সম্ভব হয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম ও আসিফ আলীর ব্যাটে ভর করে।
২০৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৫৮ রান তোলেন রিজওয়ান ও বাবর। এই রানে আউট হন বাবর। যাওয়ার আগে ৫৩ বলে ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৯ রান করে যান। এরপর রিজওয়ান ও ফখর জামান দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ১৮৪ রান পর্যন্ত। রিজওয়ান ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আউট হন রিজওয়ান। মাত্র ৪৫ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলে যান।
সেঞ্চুরি না পেলেও রেকর্ড গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ২০০০ রান করার কীর্তি গড়েন।
রিজওয়ান আউট হওয়ার সময় জেতার জন্য ১৬ বলে ২৪ রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। এরপর ব্যাট হাতে নামেন আসিফ আলী। তিনি এসেই মারতে শুরু করেন। ৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান তুলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার আগে ১৯৫ রানের মাথায় ফখর জামান ৮ বলে ২ চারে ১২ রান করে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে পাকিস্তান।
বল হাতে উইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড, ডমিনিক ড্রাকেস ও ওডেন স্মিথ ১টি করে উইকেট নেন।
তার আগে উইন্ডিজের ২০৭ রানের ইনিংসে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তিনি ৩৭ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় এই রান করেন। শামারাহ ব্রুকস ৩১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৪৯ রান। আর ব্রান্ডন কিং ২১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৩ রান। আর ড্যারেন ব্রাভো করেন অপরাজিত ৩৪ রান।
বল হাতে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন শাহনাওয়াজ ধানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ২০৭/৩ রান (নিকোলাস পুরান ৬৪, সামারা ব্রুকস ৪৯, ব্রান্ডন কিং ৪৩, ড্যারেন ব্রাভো ৩৪*)।
পাকিস্তান: ১৮.৫ ওভারে ২০৮/৩ রান (মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮৭, বাবর আজম ৭৯, আসিফ আলী ৩৪*)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।