পর্দা নামল আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১-এর। রবিবার দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরার মুকুট পড়ে অজিরা। এই আসরে রান করার ক্ষেত্রে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। বোলিংয়ে সবার ওপরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
যদিও লঙ্কানরা বাছাই পর্বে খেলায় ম্যাচ বেশি পেয়েছেন হাসারাঙ্গা। তাই তাকে বাইরে রাখলে অ্যাডাম জাম্পা ও ট্রেন্ট বোল্ট সেরা। তবে ফাইনাল শেষে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরের মোট রান ৩০৩। সেমিফাইনালে পাকিস্তান বিদায় নেয়। ছয় ম্যাচে চার ফিফটিতে বাবরের গড় ৬০.৬০, স্ট্রাইক রেট ১২৬.২৫। দ্বিতীয় স্থানে ডেভিড ওয়ার্নার। ফাইনালে ৩৮ বলে ৫৩ রানর ইনিংস খেলে ওয়ার্নারের মোট রান সাত ম্যাচে ২৮৯। গড় ৪৮.১৬, স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৭০।
এরপর রয়েছেন বাবরের সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ছয় ম্যাচ খেলে ৭০.২৫ গড় এবং ১২৭.৭২ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান করেছেন। চার নম্বরে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার। তিনিও মোট ছয় ম্যাচ খেলেছেন। রান করেছেন ২৬৯। একটি শতরানও করেছেন। বাটলারের গড় ৮৯.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১৫১.১২।
তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আশালঙ্কা। ৬ ম্যাচে ৪৬.২০ গড় ও ১৪৭.১৩ স্ট্রাইক রেটে ২৩১ রান করেছেন তিনি। ফিফটি হাঁকিয়েছেন দুটি।
বোলারদের মধ্যে ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এরপরই অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ও নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। দুজনেরই সাত ম্যাচে মোট ১৩টি করে উইকেট। জাম্পার বোলিং গড় ১২.০৭, বোল্টের গড় ১৩.০০।
এরপর ১১টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও অস্ট্রেলিয়ার জস হ্যাজেলউড রয়েছেন তালিকার চার ও পাঁচ নম্বরে। সাকিবের বোলিং গড় ১১.১৮, হ্যাজেলউডের ১৫.৯০।
সূত্রঃ দেশ রূপান্তর