বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে এনামুল হক বিজয় অন্যতম অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
দেশের ক্রিকেটে এনামুল হক বিজয়ের আগমন ছিল অনেক আশা জাগানিয়া। ২০১২ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিজয়। ঐ আসরে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল সপ্তম হয়ে।
৩৬৫ রান নিয়ে সেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন বিজয়। বিজয়ের মাঝেই নতুন দিনের আশা দেখতে পেয়েছিলেন নির্বাচকেরা, ফলশ্রুতিতে তাড়াতাড়ি ডাকও পেয়ে যান জাতীয় দলে।
২০১২ সালের শেষ দিকে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ওয়ানডে অভিষেক। রান, সেঞ্চুরি সবকিছু মিলিয়ে বিজয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই সকলের প্রশংসায় ভাসতে থাকেন।
নিয়মিত রান হয়ত পাচ্ছিলেন না, তবে মাঝেমধ্যে বড় ইনিংস খেলছিলেন। সবকিছু ভালোই চলছিল। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হাতে মারাত্মক আঘাত পান বিজয়। পরে আর সেই বিশ্বকাপেই খেলতে পারেননি।
এরপরই যেন বিজয়ের হারিয়ে যাওয়ার শুরু। এরপরে আর জাতীয় দলে ভালোভাবে সুযোগই পাননি বিজয়, নিজের পারফরম্যান্সও ঠেকে তলানিতে। তবে একেবারে যে সুযোগ পাননি এমনটাও নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিছু ম্যাচে খেলানো হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি, হয়েছেন মোটাদাগে ব্যর্থ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছেতাই, কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। দলে তাই সুযোগও পাচ্ছেন না বিজয়। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটই। টেস্টে ৪ ম্যাচ খেলে ৯ গড়ে রান করেছেন মোটে ৭৩। একজনের ওপেনারের জন্য যা শুধু বাজেই নয়, ভয়াবহ রকমের বাজে পরিসংখ্যান।
সেজন্য টেস্টে সুযোগও পাননি খুব বেশি। ওয়ানডেতে ১০৫২ রান করেছেন ৩০ গড়ে, স্ট্রাইকরেট ৭১। টি-টোয়েন্টিতে ৩২ গড়ে রান করলেও স্ট্রাইকরেট ১১৮, টি-টোয়েন্টির হিসাবে একদমই যুতসই না। ঘরোয়া ক্রিকেটেও আগের মত আর হাসে না বিজয়ের ব্যাট!
বিজয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ডট বল খেলা আর স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা। রান যা করার তার বেশিরভাগই চার-ছয় মেরে বাউন্ডারি থেকেই তোলেন। সিঙ্গেল বের করতে পারেন না, খেলে ফেলেন অনেক বেশি ডট বল। যার কারণে স্ট্রাইকরেটের এই করুণ দশা।
সূত্র, বিডি ক্রিকটাইম