আগের দিন সন্ধ্যায়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নির্ধারিত সিরিজের সূচি পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে। সেই আলোচনার ফলও মিলে গেল পরদিন সকালেই।
ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর ১৬ মাস পিছিয়ে যাওয়ার খবরটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে বিসিবি। নতুন সূচি অনুযায়ী ইংলিশরা বাংলাদেশে আসবে ২০২৩ সালের মার্চে। ম্যাচসংখ্যাও অপরিবর্তিতই থাকছে। আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে সমানসংখ্যক টি-টোয়েন্টিও থাকছে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সফর পিছিয়ে যাওয়ায় ইংলিশ ক্রিকেটাররা এখন আইপিএলেও খেলতে পারবেন। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেও কভিড সংক্রমণের কারণে ২৯টি ম্যাচ হয়ে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের শেষাংশ ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই।
যদিও এর আগে ইসিবি জানিয়েছিল, আইপিএলের নতুন সূচি হলে তাঁরা নিজেদের ক্রিকেটারদের তাতে খেলার অনুমতি দেবে না। কিন্তু বিশ্বকাপ যেহেতু আমিরাতেই, তাই প্রস্তুতির কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো ইসিবি।
একই সময়ে ফাঁকা সময় পেয়ে গেলেন আইপিএলে বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানও। ওই সময়ে তাঁরাও আইপিএল খেলতে চাইলে বিসিবি অনুমতি দেবে বলেই জানালেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খান।
আকরাম বলেন, ‘ওরা যদি আবেদন করে এবং ওই সময়ে যদি কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজের সূচি না থাকে (ইংল্যান্ডের সফর পিছিয়ে যাওয়ায় একই সময়ে যদি বিসিবি নতুন কোনো সিরিজ চূড়ান্ত না করে), তাহলে আইপিএল খেলার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
সূত্রঃ কালের কন্ঠ অনলাইন