সময়ের আবর্তে খেলায় পেশাদারিত্ব যোগ হওয়ায় অর্থের প্রসঙ্গ এসেছে। যারা খেলেই সময় পার করেন বা খেলাই যাদের রুটি-রুজির একমাত্র মাধ্যম তাদের কথা এবং খেলার উত্তরোত্তর উন্নতির কথা চিন্তা করেই হয়তো খেলায় পেশাদারিত্ব এসেছে।
বতর্মান সময়ে যারা জাতীয় পর্যায়ে খেলা এবং খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত আছেন হয়তো আর্থিকভাবে তারা অন্য পেশার মানুষের তুলনায় বেশ ভালো আছেন। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে আয়ের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ভারত। তারপরই আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
ক্রিকেট খেলুড়ে এই দলগুলোকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কেমন সম্মানী পান তা একটু দেখে নেয়া যাক-
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক, ভারত)
বিশ্বের এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা কোহলি বছরে বেতন হিসেবে পান ৭ কোটি ভারতীয় রুপি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ইয়ন মরগান (সীমিত ওভারের অধিনায়ক, ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বছরে বেতন হিসাবে পান ১৭০০০০ পাউন্ড; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা।
জো রুট (টেস্ট অধিনায়ক, ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক জো রুট বোর্ডের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ৮৭০০০০ পাউন্ড বেতন পান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অ্যারন ফিঞ্চ (সীমিত ওভারের অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী অ্যারন ফিঞ্চ বেতন হিসেবে বছরে ৭৫০০০০ ডলার পান; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
টিম পেইন (টেস্ট অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া)
টিম পেইন বেতন হিসেবে বছরে ২৭৮০০০ ডলার পান; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক, নিউজিল্যান্ড)
বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের এই অধিনায়ক বছরে ৪৪০০০০ ডলার বেতন পান; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে বোনাস পান ৪০ হাজার ডলার।
বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান)
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এ ক্যাটাগরিতে আছেন বাবর আজম। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানের বাৎসরিক বেতন বাবদ আয় ১৩.২ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭২ লাখ টাকা।
টেম্বা বাভুমা (সীমিত ওভারের অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে থেকে বেতন হিসেবে পান ৩৫০০০০ ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।
ডিন এলগার (টেস্ট অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা)
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ডিন এলগার বেতন হিসেবে পান ৪৫০০০০ ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
দ্বিমুথ করুনারত্নে (টেস্ট অধিনায়ক, শ্রীলঙ্কা)
সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী শ্রীলংকান টেস্ট অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে বছরে ৭০ হাজার ডলার পান; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
কুশল পেরেরা (সীমিত ওভারের অধিনায়ক, শ্রীলংকা)
সবশেষ বাংলাদেশ সফরে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান কুশল পেরেরা। বাঁহাতি এই মারকুটে ব্যাটসম্যান বছরে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে বেতন হিসেবে পাবেন ৩৫ হাজার ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
কায়রন পোলার্ড (সীমিত ওভারের অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সর্বশেষ চুক্তি অনুযায়ী কায়রন পোলার্ড বছরে ২৫০০০০ হাজার ডলার পাবেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (টেস্ট অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ক্রেইগ ব্রাথওয়েট প্রতি মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে ২০০০০০ ডলার পেয়ে থাকেন; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক)
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুযায়ী তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দু’জনই এ+ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। ক্রিকেটার হিসেবে বোর্ডের কাছ থেকে মাসে চার লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পান তারা। বছরে তাদের আয় ৪৮ লাখ টাকা। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি সম্মানী পান তারা।
মুমিনুল হক (বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক)
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ বোর্ডের ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। তার মাসিক বেতন তিন লাখ টাকা। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে তিনি বাড়তি সম্মানী পান।
সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন