ক্রিকেটে একটা দলের শুরুই বলে দেয় কোন পথে যাবে তাদের ইনিংস, ভালো শুরু মানেই বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। চাপমুক্ত ভাবে খেলতে পারে পরের ব্যাটাররা, কিন্তু বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাচেই উল্টো পরিস্থিতিতেই পড়তে হচ্ছে।
২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বকে ওয়ানডে সুপার লিগের মোড়কে মুড়িয়ে দিয়ে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ গুলোকে, এখন পর্যন্ত সেই প্রতীকী লড়াইয়ে বেশ সফলই বলা যায় বাংলাদেশ দলকে।
দলীয় সাফল্য মিললেও সুপার লিগে সুপার ফ্লপ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি, নিয়ম করে প্রতি ম্যাচেই শুরুতেই ফিরে যাচ্ছেন ওপেনাররা। যার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের ইনিংসেও।
ওয়ানডে সুপার লিগে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল, দেশে ও দেশের বাহিরে খেলা এই ৮ ম্যাচে একবারও ৩০০ স্কোর স্পর্শ করতে পারেনি টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ৮ ম্যাচের প্রতিটিতেই ইনিংস উদ্বোধন করেছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস, তবে একবারও জুটিকে ৫০ রানে নিতে পারেননি তারা। তাদের জুটি থেকে ১৬.৩৭ গড়ে ৮ ম্যাচে এসেছে মোটে ১৩১ রান, সর্বোচ্চ জুটিটি ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে।
৮ ইনিংসে তামিম-লিটন জুটিতে এসেছে ৪৭, ৩০, ১, ১৯, ৪, ৫ ও ১৫ (সর্বশেষ ম্যাচে) রান। বড় সংগ্রহে পাওয়ার প্লে-কেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, সেই জায়গায়তেই বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই ৮ ম্যাচে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে-তে ৮০ ওভারে ৩.৯৬ ইকোনমিতে তুলতে পেরেছে মোটে ৩০৯ রান। টি-টোয়েন্টির এই যুগে যেখানে ৩০০ রানও নিরাপদ ভাবা হয় না, সেখানে তারা ২৫০ পেরোতে পেরেছেই মোটে ৩ বার।
ওপেনিং জুটির ধারাবাহিক এই ব্যর্থতায়ও লিটন দাসের উপরেই আস্থা রেখে গেছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তবে সেই আস্থা যে আর আগের জায়গায় নেই সেটা পরিস্কার। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মিডল অর্ডারে লিটনকে খেলানোর পক্ষে মত দেন, অন্যদিকে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের দলে নতুন করে ডাকা হয়েছে ওপেনার নাঈম শেখকে।
সব মিলিয়ে আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিম-নাঈমের ওপেনিং জুটি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে, এখন দেখার বিষয় টিম ম্যানেজমেন্ট আরও একবার লিটনেই আস্থা রাখবেন না কি আপাতত ইতি ঘটবে ওপেনার লিটন দাসের ব্যর্থতার গল্প সেটা টসের সময়ই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
সূত্রঃ ডেইলি স্পোর্টস বিডি