২০১৯ বিশ্বকাপের পর ইঞ্জুরি ও বিশ্রাম মিলিয়ে শুধুমাত্র জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছেন মাশরাফি মর্তুজা, শুধুমাত্র ওয়ানডেতে খেলা মাশরাফি সেই সিরিজে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১ বছর খেলা বন্ধ থাকার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সুযোগ পাননি তিনি।
২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বাংলাদেশ দল, সেই পরিকল্পনায় নেই মাশরাফি মর্তুজা। অধিনায়ক থেকে সরে দাঁড়ালেও এখনো ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি মাশরাফি, তবে বাংলাদেশ দল থেকে অনেকটা নিভৃতেই বিদায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।
নিজের বিদায় নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকলেও সাবেক এই অধিনায়কের অনুরোধ, তালে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে সেটা যেন অন্যদের ক্ষেত্রেও না হয়।
ডিবিসি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি মর্তুজা বলেন, “ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময় আমাকে যে সম্মানহানি করা হয়েছে সেটা তো আর ফিরে পাব না। কিন্তু আশা করি সামনে যারা বিদায় নিবে ক্রিকেট থেকে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। তাঁদের বিদায়টা যেন অন্তত আনন্দঘন পরিবেশে হয়, এই পরিবেশটা যেন আমাদের ক্রিকেটে তৈরি হয়।”
অভিযোগ না থাকলেও যে আক্ষেপ আছে সেটা প্রকাশ পেয়েছে মাশরাফির কথাতেই, “আমার সাথে যোগাযোগ করা বিসিবির এখন জরুরী না। কারণ না আমি ক্রিকেট বোর্ডের বেতনভুক্ত ক্রিকেটার, না আমি ক্রিকেট বোর্ডের কোন কর্মকর্তা। বিদায় হয়তোবা স্মরণীয় হয় না। আমি মারাও যেতে পারতাম, সেক্ষেত্রে তো দৃশ্যপট অন্যরকমও হতে পারতো।”
মাশরাফি আরও বলেন, “আমার সাথে যোগাযোগ করলেই যে আমি চুপ হয়ে যাবো তা না, কিংবা আমার সাথে যোগাযোগ করলেই যে তারা ঠিক হয়ে যাবে ব্যাপারটা তেমন না। আপনার আউটকাম নির্ভর করছে সামনে কিভাবে চলবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের চেয়ে মাঠের বাহিরের ক্রিকেট নিয়ে বেশি আলোচিত বাংলাদেশের ক্রিকেট, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ হেরেছে বাংলাদেশ দল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মোটেও। - ডেইলি স্পোর্টস বিডি