করোনাকালে স্থানীয় ম্যাচ অফিশিয়ালদের দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করছে আইসিসি। সেই সুযোগে ইতিহাস লিখলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অল রাউন্ডার নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম টেস্টে ম্যাচ দিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন এই ৪৬ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার। সেই সাথে প্রথম বাংলাদেশি ম্যাচ রেফারি হিসেবে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার গৌরব অর্জন করলেন তিনি।
আশ্চর্য হলেও সত্য যে, নিয়ামুর কখনো টেস্ট ম্যাচই খেলেননি। আরো অবাক করার মত খবর, এক সময় ক্রিকেট খেললেও বর্তমানে তিনি পেশায় ব্যাংকার। মিউচুয়াল ট্র্রাস্ট ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু কীভাবে এই জগতে তার প্রত্যাবর্তন ঘটল- সেটা এক ইতিহাস। জাতীয় দলের পেস বোলিং অল-রাউন্ডার ছিলেন নিয়ামুর রশিদ।
১৯৯৯ বিশ্বকাপেও তিনি খেলেছেন। নর্দানস্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের পর একই বছরের মার্চে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ- এই দুটিই ওয়ানডে আছে তার ক্যারিয়ারে। এরপর ক্যারিয়ার বেশিদূর এগোয়নি। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যাংকিংকে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন।
ওয়ানডেতেও তিনি ম্যাচ রেফারি হিসেবে এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। আইসিসি এলিট প্যানেলের অংশ না হলেও কোভিড পরিস্থিতি তাকে ম্যাচ রেফারি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। করোনার কারণে বিদেশি আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারিদের বদলে স্থানীয়রাই দায়িত্ব পালন করছেন।
৪৬ বছর বয়সী সাবেক পেস বোলিং অল-রাউন্ডার দেশের হয়ে কখনই টেস্ট খেলতে পারেননি। টেস্টে ম্যাচ রেফারি হয়ে সেই আক্ষেপ পূরণ করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এবার ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে ক্রিকেটের এই জায়গাগুলোতে তিনি বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান।
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪