ফলটা অনুমিতই ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয় খুব একটা আমলে নেয় না দলগুলো। যে কারণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জয়ের পথে না হেঁটে ব্যাটিং অনুশীলনকেই প্রাধান্য দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে অলআউট হয়ে বিসিবি একাদশকে ৩৮৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ক্যারিবিয়ানরা।
৩৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেম দ্বিতীয় ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেননি টেস্ট দলে ডাক পাওয়া সাইফ হাসান, রেইমন রেইফারের বলে লেগ-বিফোরের ফাদে পড়ে ৭ রানেই আউট হয়ে যান জাতীয় দলের এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা নাঈম রানের খাতাও খুলতে পারেননি, তাকেও ফেরান রেইমন রেইফার।
১৪ রানে ২ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ, তবে দলকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া সাদমান ইসলাম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ৪৯ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় বিসিবি একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, সাদমান ২৩ ও ইয়াসির ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, তবে দিনের শুরুতেই ফিরে যান এনক্রুমাহ বোনার। খালেদ আহমেদের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দি হন তিনি। এদিন নিজে কোন রান যোগ করতে পারেননি তিনি, ১৩৮ বলে ১২টি চারের সাহায্যে ৮০ রান করেন বোনার।
দ্রুত রাকিম কর্নওয়েলকেও ফেরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, তবে এরপরই রেইমন রেইফারকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন জশোয়া ডি সিলভা। এই জুটিও ভাঙেন পেসার মুকিদুল, এরপর আর সেভাবে জুটি গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, তবে তার আগেই স্কোর বোর্ডে ২৯১ রান তুলে ফেলে তারা।
বিসিবি একাদশের হয়ে ৫৯ রানের খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, খালেদ আহমেদ পেয়েছেন ৩ উইকেট; পার্টটাইম স্পিনে ২ উইকেট পেয়েছেন সাইফ হাসান।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সংগ্রহ ছিল ২৫৭ রান, জবাবে রাকিম কর্নওয়েলের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় বিসিবি একাদশ। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানের লিড পায় ক্যারিবিয়ানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৭/১০ (১ম ইনিংস)
বিসিবি একাদশ ১৬০/১০ (১ম ইনিংস)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯১/১০ (২য় ইনিংস)
বনার ৮০, ক্যাম্পবেল ৬৮, জসুয়া ৪৬;
মুগ্ধ ৪/৫৯, খালেদ ৩/৪২, সাইফ ২/৪৫, হৃদয় ১/২১।
বিসিবি একাদশ ৬৩/২ (২য় ইনিংস চলমান)
ইয়াসির ৩৩*, সাদমান ২৩*, সাইফ ৭, নাঈম ০
রেইফার ২/৭।
ফলাফল : ম্যাচ ড্র
সূত্রঃ ডেইলি স্পোর্টস বিডি, বিডিক্রিকটাইম