বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল জেমকন খুলনা। মূলত ফাইনালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ৭০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই জয়লাভ করেছিল জেমকন খুলনা। দুর্দান্ত এই ইনিংসের পিছনে আরো একজনে অবদানের কথা স্বীকার করলেন মাহমুদুল্লাহ।
আর তিনি হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। কমেন্টের মাঝপথে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে এ বিষয় জানিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
এ বিষয়ে ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদ বলেন, প্রথম কোয়ালিফায়ারের আগে শ্রীনির সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছিল। সে জানায় পাওয়ার হিটিংয়ের সময় আমার ব্যাটিংয়ে কিছু একটা থাকছে না। এটা শুনে বিস্মিত হয়েছিলাম। পরে ভিডিও দেখে আমারও মনে হলো, কিছু একটা নেই। কিন্তু কী বুঝতে পারলাম না।
খুলনা অধিনায়ক আরো বলেন, এরপর চাওয়া মতো শ্রীনি কিছুটা সময় নিয়ে আমার ভিডিওগুলো দেখলেন। তিনি তার মতামত দিলেন। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কিছু আলাপ হলো। তখন মনে হলো, শট খেলার সময় আমার কাঁধ দ্রুত উপরে উঠে যাচ্ছে।
চন্দ্রশেখর এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, ইয়াসির আলী সবার দিকেই নজর রাখছিলাম। তারাও বিভিন্ন সময়ে আমাকে বিভিন্ন দিক দেখে দেয়ার জন্য বলেন।
তাই আমিও মনোযোগ দিয়ে টুর্নামেন্টটা দেখছিলাম। খেয়াল করে দেখলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার পছন্দের পিক আপ শটটা (লাইনের বলে ফ্লিক করা) খেলতে পারছেন না। টুর্নামেন্ট জুড়েই তিনি এই সমস্যায় ছিলেন।
এই অ্যানালিস্ট যোগ করেন, আমি টিভিতে একই সঙ্গে নিদাহাস ট্রফির ম্যাচ এবং মোবাইলে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের লাইভ দেখে সমস্যাটা ধরতে পারি। এরপর রিয়াদের সঙ্গে স্বাভাবিক এক আলাপকালে তাকে বলি, যদি কিছু মনে না করেন আপনার ব্যাটিংয়ের একটা সমস্যার কথা জানাতে চাই।
আপনি পিক আপ শট অনেক বেশি মিস করছেন। এটা স্লগ ওভারে আপনার শট খেলার শক্তির জায়গা। এরপর রিয়াদের বিভিন্ন ভিডিও দেখতে থাকেন চন্দ্রশেখর। কোন কন্ডিশনে, কেমন উইকেটে, কিভাবে ব্যাটিং করেছেন সেসব পর্যবেক্ষণ করেন।
রিয়াদ সব শুনে নতুনভাবে অনুশীলন করে দেখার কথা জানান। পরদিন সকালে নেটে এক ঘণ্টা সেই বিশেষ শটের ওপর অনুশীলন করেন রিয়াদ। এরপর ফিরে পান নিজের আত্মবিশ্বাস। বাকী গল্প তো সবারই জানা।
সূত্রঃ বাংলাওয়াশ ক্রিকেট