শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর এ বছর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ নেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। তবে আগামী বছর থেকে ব্যস্ত সূচিতে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
যার শুরুটাই হবে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামএ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২১ সালে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে, দুটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দলের।
যদিও করোণা ভাইরাসের কারণে এই সিরিজ সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। এ বছরের শেষের দিকে ২৭ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ডে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দল।
এরপরে বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উপর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
২০২১ এবং ২০২২ সাল মিলিয়ে অন্তত ৩৫টি ওয়ানডে এবং ৫৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে খেলবে অন্তত ১৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি। ২০২২ সালে খেলার কথা রয়েছে ২০টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বাইরে আরো অনেকগুলি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
২০২১ সালে বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের তালিকা:
১। জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি (২০২১): ২০২১ সালে শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
২। ফেব্রুয়ারি- মার্চ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৩। মে: নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরেই দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৪। জুন: জুনে স্থগিত হয়ে যায় এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
৫। জুন-জুলাই: এরপর দীর্ঘদিন পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদের মাটিতেই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৬। সেপ্টেম্বর: সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৭। সেপ্টেম্বর- অক্টোবর: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর ঐ মাসেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
৮। অক্টোবর- নভেম্বর: এই সময়ে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে না উঠলেও অন্তত ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ।
৯। নভেম্বর- ডিসেম্বর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
সূত্রঃ বাংলাওয়াশক্রিকেট