বলে বলে চার-ছক্কার ছড়াছড়ি, বিধ্বংসী সব ইনিংস, আইপিএলের গত বারো বছরের ইতিহাসে এমনটা আমরা বহুবার দেখেছি। যেখানে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যতা একটা দলকে তাদের কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
গতআসর পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরি হয়েছে মোট ৫৭ টি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী বার সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল, তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ছয়টি। এর পরে আছেন বিরাট কোহলি করেছেন, তার সেঞ্চুরির সংখ্যা পাঁচটি। ডেভিড ওয়ার্নার এবং শেন ওয়াটসন করেছেন চারটি করে।
আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম পাঁচ সেঞ্চুরি’র রেকর্ড অধিকারীর নাম…
১। ক্রিস গেইল (৩০ বল, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম পুনে ওয়ারিয়রস ইন্ডিয়া,২০১৩)
২০১৩ সালে পুনের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেইদিন একাধিক রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিস গেইল। মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি, যা পেশাদার ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম। সেইদিন ৬৬ বলে ১৭৫ * রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ইনিংস খেলাকালীন গেইল মেরেছিলেন ১৭ টি ছয়, যা একজন ব্যাটসমানের কোনও টি টোয়েন্টি ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। সেইদিন গেইলের বিস্ফোরক ইনিংসের সুবাদে পুনের বিপক্ষে ২০ ওভার শেষে ২৬৩/৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ব্যাঙ্গালোর।
২। ইউসুফ পাঠান ( ৩৭ বল,রাজস্থান রয়্যালস বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স,২০১০)
সেইবার আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইয়ের মুখোমুখি রাজস্থান। রাজস্থান ম্যাচ হারলেও ইউসুফ পাঠানের সৈজন্যে জয়ের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল তার দলের।বলা যায় তার বিস্ফোরক ইনিংস সেদিন রাজস্থান’কে একপ্রকার হারা ম্যাচে জয় এনে দিচ্ছিলো। জেতার জন্য রয়্যালসদের তখন প্রয়োজন ৫৭ বলে ১৪৩। এইরকম একটা সময় মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেন ইউসুফ। যদিও ম্যাচের ১৮ তম ওভারে তিনি রান আউট হয়ে গেলে রয়্যালসের জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।
৩। ডেভিড মিলার ( ৩৮ বল, কিংস ইলেভেন পান্জাব বনাম রয়্যাল চ্যালেন্জার্স ব্যাঙ্গালোর,২০১৩ )
সেইদিন ম্যাচে মিলারের ক্যাচ ফেলে মস্ত বড়ো ভুল করে ফেলেছিলেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি।কোহলিদের গড়া ১৯০/৩ চেজ করতে নেমে ৯.৫ ওভার শেষে পান্জাবের স্কোর ছিলো ৬৪/৪,কিন্তু এরপর মিলারের বিস্ফোরক ইনিংসের সৈজন্যে চার ওভার বাকী থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় পান্জাব।
৪। এ্যডাম গিলক্রিস্ট (৪২ বল,ডেকান চার্জাস বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স,২০০৮)
১৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুই ম্যাচ জিতেছিলো ডেকান চার্জাস, প্রথম বছরের আইপিএলে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচে মাত্র ৪২ বলে শতরান করেন গিলি।১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করা কালীণ গিলক্রিস্ট এই ইনিংস খেলাকালীণ মেরেছিলেন নয়টি চার এবং দশটা ছয়।
৫। এ বি ডি ভিলিয়ার্স (৪৩ বল,রয়্যাল চ্যালেন্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম গুজরাট লায়ন্স,২০১৬)
আরসিবি’র এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং বিরাট কোহলি জুটি আইপিএলের ইতিহাসে দুটো সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের ইনিংস খেলেছিলেন,এরমধ্যে একটি ইনিংস খেলেছিলেন তারা ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে। বিরাটের সাথে শতরানের পার্টনারশিপ জোড়ার পাশাপাশি এই ম্যাচে ১২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
সূত্র: স্পোর্টস উইকি, স্পোর্টসজোন২৪