অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড

ক্রিকেট দুনিয়া September 14, 2020 3,134
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো ইংল্যান্ড

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হারলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ঘুরে দাড়িয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অতিথিদের ২৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনলো স্বাগতিকরা।


দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অ্যাডাম জাম্পা- মিচেল স্টার্কদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৩১ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। অল্প রানের পুজিতেই আর্চার, ক্রিস ওকস, স্যাম কুরানের দুর্দান্ত গতিতে পরাস্ত হয়ে ৪৮.৪ ওভারে ২০৭ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।


এদিন ম্যানচেস্টারে সিরিজে সমতায় ফিরতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংলিশ অধিনায়ক মরগান। কিন্তু শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ২৯ রানের মাথায় দু’জনে ফিরেন প্যাভিলিয়নে। রয় ২১ ও বেয়ারস্টো করেন ০ রান।


এরপর দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মরগান ও রুট মিলে দলের হাল ধরলেও ৬১ রানের জুটি গড়ে জাম্পার বলে ৩৯ রান করে ফিরেন রুট। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ৪২ রান করা মরগানও জাম্পার শিকার হয়ে ফিরেন। এদিন বাটলারও (৩) সুবিধা করতে পারেন নি।


তবে আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো স্যাম বিলিংসের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকলেও ৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তবে শেষ দিকে দল যখন ১৪৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তখন আদিল রশিদ ও টম কুরান দলকে ৭৬ রানের জুটি গড়ে ২৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং রান এনে দেন। কুরান ৩৭ ও রশিদ করেন ৩৫ রান।


অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন জাম্পা ও ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন স্টার্ক। এছাড়া হ্যাজেলউড, মার্শ ও কামিন্স নেন ১টি উইকেট।


জবাবে ব্যাট করতে জোফরা আর্চারের গতিতে এদিনও পরাস্ত হন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে স্টয়নিসকেও থিতু হতে দেননি আর্চার। সফরকারীদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ফিঞ্চ ও লাবুশানের জুটি। ফিফটি তুলে নিয়ে দলকে দারুণভাবেই এগিয়ে যেতে থাকেন ফিঞ্চ। তাকে সঙ্গটা মন্দ দিচ্ছিলেন না লাবুশানে।


কিন্তু ইনিংসের ৩১ তম ওভারে লাবুশানেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে অজি শিবিরে ধ্বস নামান ক্রিস ওকস। দ্রুতই ফিরে দেন ফিঞ্চ ও ম্যাক্সওয়েলকেও। মাঝেই মার্শকে ফেরান আর্চার। ওকসের ধাক্কার পর অজি শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন স্যাম কারান।


ফেরান কামিন্স, স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পাকে। এতেই ৯ উইকেট হেরে মুখ থুবড়ে পড়ে অজিরা। শেষ দিকে হ্যাজিউলডকে নিয়ে ক্যারি কিছুটা লড়াই করলেও আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ফিরতে হয় তাকেও।


সংক্ষিপ্ত স্কোর–

ইংল্যান্ড: ২৩১/৯ (৫০)

মরগান ৪২, রুট ৩৯

জাম্পা ৩/৩৬, স্টার্ক ২/৩৮


অস্ট্রেলিয়া: ২০৭/১০(৪৮.৪)

ফিঞ্চ ৭৩, লাবুশানে ৪৮

ক্রিস ওকস ৩/৩২, জোফরা আর্চার ৩/৩৪।


ম্যাচ সেরা: জোফরা আর্চার


সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪