

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে শেষ বলেন নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫ রানে জয়লাভ করেছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রানে।
কিন্তু পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার হারিস রউফের দুর্দান্ত ইয়র্কার বলে বাউন্ডারি ঢাকাতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টম কারেন। টানটান উত্তেজনায় গানে ম্যাচে জয়লাভ করে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) ম্যানচেস্টারে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার ফখর জামানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দলীয় ৩২ রানে মাথায় ২১ রান করে আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম। তবে এর পরেই ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান।
অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ান ১৯ বছর বয়সী হায়দার আলী। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে বোল্ড হন হায়দার। তার আগে অবশ্য দারুণ এক কীর্তিই গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে করেছেন ২৮ বলে ফিফটি।
তবে অন্য প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। যার মধ্যে ৪টি চারের পাশাপাশি ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। শেষদিকে হাফিজকে সঙ্গ দেন শাদাব খান (১৫) এবং অপরাজিত থাকা ইমাদ ওয়াসিম (৬)। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিযে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন জর্ডান। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন মঈন ও কারেন।
এর আগে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ও ১৯৫ রান করে ম্যাচ হাসতে হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু এদিন শুরুতেই ইংল্যান্ডের উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরান শাহীন আফ্রিদি।
তবে এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ৭ রান করে আউট হন ডেভিড মালান। দলকে চাপে রেখে দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান (১০)। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান যোগ হতেই রউফের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার টম বার্টন (৪৬)।
সেখান থেকেই ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মঈন। স্যাম বিলিংসকে (২৬) নিয়ে এগোতে থাকেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। কিন্তু সতীর্থদের সঙ্গে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি তিনি। লুইস গ্রেগরি (১২), জর্ডান (১) দ্রুত বিদায় নিলে একাই লড়ে যান মঈন। ওয়াহাব রিয়াজের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইংলিশদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। কারেন ও আদিল রশিদ চেষ্টার কমতি করেননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কারেনের ছক্কায় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ বলে রউফের বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি ও রিয়াজ। তবে অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজও হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। - বাংলাওয়াশক্রিকেট









