আইপিএলের নতুন টাইটেল স্পন্সরও চাইনিজ!

ক্রিকেট দুনিয়া August 20, 2020 1,441
আইপিএলের নতুন টাইটেল স্পন্সরও চাইনিজ!

লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘ’র্ষের জেরে ভারত জুড়ে চীনা দ্রব্য বর্জনের ডাক ওঠে। ভারত সরকারও ৫৯টি চিনা অ্যাপ ভারতে নিষিদ্ধ করে। একইসঙ্গে দাবি ওঠে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর চীনা সংস্থা ভিভোকে সরিয়ে দেওয়ার। ভিভোকে না সরালে আইপিএলের বয়কটের ডাকও ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়।


অবশেষে ভারত জুড়ে প্রবল চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ভিভোকে সরিয়ে নতুন টাইটেল স্পনসর হিসেবে ড্রিম ইলেভেনকে বেছে নেয় বিসিসিআই। কিন্তু সেই সংস্থার সাথেও চীনা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক থাকার ফলে অস্বস্তিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।


ভিভোর পরিবর্তে ২২২ কোটি রুপিতে ড্রিম ইলেভেনের সাথে চুক্তি করে বিসিসিআই। যদি ভিভো আবার ফিরে না আসে তবে ২০২২ পর্যন্ত চুক্তি বাড়াতে পারে তারা। এক্ষেত্রে প্রতিবছর ২৪০ কোটি রুপি দিবে গেমিং সংস্থাটি। কিন্তু প্রথম আসরের টাইটেল স্পন্সর হওয়া নিয়েই সমালোচনার মুখে বিসিসিআই।


জানা গেছে, এই ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপটি ২০০৮ সালে তৈরি করেছিলেন ভবিত শেঠ এবং হর্ষ জৈন। বর্তমানে ৮ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপটি। এই সংস্থায় কালারি ক্যাপিটাল,মাল্টিপেলস এবং স্টেডভিউ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের মতো সংস্থার সাথে যোগ আছে। আর ভিডিও গেম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘টেনসেন্ট’ এটির অন্যতম অংশীদার যেটি একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।


টেনসেন্ট ১৯৯৮ সালে চীনের শেনঝেনে যাত্রা শুরু করে এবং সময়ের সাথে চীনের সবচেয়ে বড় গেমিং প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। উইচ্যাট, হাইক ও পাবজির বড় অংশের অংশীদারও তারা। প্রতিষ্ঠানটি ড্রিম ইলেভেনে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।


তবে বিসিসিআই দাবি করছে, ড্রিম ইলেভেনে চীনা অংশীদারত্ব যা আছে সেটি খুবই নগণ্য হওয়ায় তাতে কোন সমস্যা দেখে না তারা। প্রয়োজনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেটি ‘ঠিক’ করা যাবে বলেও জানিয়েছে বিসিসিআই।


বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন,‘ভারতীয় বিনিয়োগকারী হল কালারি ক্যাপিটাল এবং মাল্টিপেলস ইক্যুইটি। এমনকী ড্রিম ১১-এর শুধুমাত্র ভারতীয়দের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যায়। শুধুমাত্র এক অঙ্কের নগণ্য শেয়ার আছে টেনসেন্টের।’


সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪