সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রীর অভিযোগের পর শ্রীলঙ্কার পুলিশ ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ফিক্সিং নিয়ে তদন্তে নামে। সেই তদন্তে গত কয়েকদিনে বিশ্বকাপের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাসহ বেশ কয়েকজনকে শ্রীলঙ্কা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদও করে।
কিন্তু কারো কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। আর তাই প্রমাণের অভাবে শ্রীলঙ্কা পুলিশ শুক্রবার, ৩ জুলাই এই তদন্ত বাতিল করে দেয়। কিন্তু নতুন করে অভিযোগ– টাকার বিনিময়ে বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বকাপ ফিক্সিংয়ের তদন্ত!
তখনকার লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রী হঠাৎ কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কার স্থানীয় একটি টিভিতে অভিযোগ করে বসেন- ‘২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল বিক্রি করা হয়েছিল।’ মন্ত্রী তার অভিযোগে অবশ্য দলের কোন ক্রিকেটার এই বিক্রিবাট্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা উল্লেখ করেননি। শুধু বলেছেন, একটা অংশ অবশ্যই এতে জড়িত ছিল।
মন্ত্রীর এই অভিযোগের পর শ্রীলঙ্কা সরকার এই অভিযোগ তদন্তের জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন ইউনিট (এসআইইউ) কে দায়িত্ব দেয়। পুলিশ সেই তদন্ত কাজে সাবেক প্রধান নির্বাচক অরবিন্দু ডি সিলভা, বিশ্বকাপের সেই ফাইনালের ওপেনার উপুল থারাঙ্গা, অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা এবং ফাইনালের সেঞ্চুরিয়ান মাহেলা জয়াবর্ধনেকেও লম্বা সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা সবাই পুলিশের কাজে সহযোগিতা করেন।
আর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ফিক্সিংয়ে শ্রীলঙ্কা জড়িত, এমন কোন তথ্য পাননি পুলিশ কর্মকর্তারা। এরপর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফিক্সিং তদন্ত। তবে নতুন করে সেই সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী আলুথগামাগে বললেন, বড় অংকের টাকা ঢেলে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই তদন্তকে বদলে দিয়েছেন।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলুথগামাগে বলেন, “পুলিশ ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করতে পারেনি। সেইসঙ্গে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপাকসেকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা এবং পুনঃতদন্তের জন্য আইসিসির ওপর চাপ প্রয়োগ করার অনুরোধ।”
তিনি আরও বলেন, আইসিসির এন্টি করাপশন প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাকে বলেছেন, ‘ম্যাচটি যে পাতানো ছিল তার জন্য প্রয়োজনে আরও তথ্য প্রমাণাদি হাজির করতে রাজি আছেন।’
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪