ক্রিকেট বিশ্বে এমন একটি বিশ্ব রেকর্ড আছে যা একমাত্র করেছেন সোহাগ গাজী। ক্রিকেট বিশ্বে সোহাগ গাজীর এই রেকর্ড ভাঙা প্রায় অসম্ভব। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ২০১২ সালে দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে অভিষেক হয় সোহাগ গাজীর। অভিষেকের পর থেকে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন সোহাগ গাজী।
বাংলাদেশের হয়ে ১০টি টেস্ট ২০ টি ওয়ানডে এবং ১০ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। কিন্তু দুই বছর পরেই ক্যারিয়ার শেষ দেখে ফেলেন সোহাগ গাজী। ২০১৪ সালে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। এরপর বোলিং অ্যাকশন শুধরে ফের ক্রিকেটে ফিরলেও আর দলে সুযোগ হয়নি তার।
২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর আর জাতীয় দলের জার্সি দেখা যায়নি সোহাগ গাজীর গায়ে। তবে এখনো জাতীয় দলের জন্য খেলতে প্রস্তুত আছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট লীগে নিয়মিত পারফর্মার সোহাগ গাজী। কিন্তু তারপরেও জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন না তিনি।
মূন সমস্যার কথা বলতে গিয়ে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সোহাগ গাজী জানান, ‘আসলে পারফরম্যান্সের জন্য কিন্তু আমি দল থেকে বাদ পড়িনি। বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময় হঠাৎ করেই একটা ঘটনা (অবৈধ বোলিং অ্যাকশন) আমার সঙ্গে ঘটে। বোলিং অ্যাকশন ঠিক করে আবার ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে টানা তিনটি সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছিলাম।
তারপরও টেস্ট দলে জায়গা হয়নি। কারণ হাথুরুসিংহের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালো ছিলো না। দলে না নেওয়ার জন্যই তখন কারণ দেখানো হয়, আমি অনুশীলনে অমনোযোগী। আসলে এগুলো ভিত্তিহীন। আমি মনে করি, কোনো ক্রিকেটারকেই হুট করে সবকিছুর বাইরে ফেলে দেয়া ঠিক না।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে লীগের নিয়মিত পারফর্মার সোহাগ গাজী। প্রতিটি আসরেই দুর্দান্ত খেলেন তিনি। ৯১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৩০টি উইকেটে নিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে রয়েছে ৮টি সেঞ্চুরি। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে হলে আপনাকে পারফরম্যান্স করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেক সময় ভালো করি আর ভালো করেই দলে ফিরতে হবে আমি মনে করি।
জাতীয় দলে ফেরার জন্য বয়সের চেয়ে পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখা উচিত অবশ্যই। আমি মনে করি, পারফরম্যান্সের গুরুত্ব বেশি। সেক্ষেত্রে আমি বলবো, ফিটনেস একটা বড় বিষয়। আর যদি পারফর্ম করি তবে ফিটনেস এমনিতেই ভালো থাকবে। কারণ পারফর্মের জন্য ফিটনেস ধরে রাখতে হবে।’
সূত্রঃ বাংলাওয়াশক্রিকেট