করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় তিন মাস ধরে ইংল্যান্ডে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে নিজ দেশের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো আয়োজন করতে মরিয়া ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তাদের সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে নিয়ে।
ইতিমধ্যে তিন টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ড পৌঁছেছে ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু আর্থিকভাবে দুরবস্থায় থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড টাকা–পয়সার লোভে পড়েই ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি পেসার অ্যান্ডি রবার্টস মনে করেন, টাকার জন্যই ‘গিনিপিগ’ বানানো হয়েছে উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের।
এই সময়ে এই সিরিজগুলো আয়োজন করতে পারলে ৩৮ কোটি পাউন্ড ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ইংল্যান্ডের বোর্ড। এমনিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের টিভি স্বত্ব থেকে শুরু করে অন্য সব আয় পেয়ে থাকে আয়োজক বোর্ডই। এই সিরিজেও সব আয় যাবে ইসিবির কোষাগারে। রবার্টসের প্রশ্ন সেখানেই।
তিনি বলেন, “আইসিসির কাছে থাকা আমাদের হিস্যার ৩০ লাখ ডলার অগ্রিম চেয়েছিলাম। যেটি আইসিসির পক্ষ থেকে ইসিবি আমাদের দিয়েছে। এটা স্বল্পমেয়াদী সুদবিহীন ঋণ। জুলাই মাসেই আইসিসি টাকাটা ইসিবিকে পরিশোধ করবে।
মে মাসের শুরুতে আমরা টাকাটা নিয়েছি। সে সময়ে যুক্তরাজ্যের যে বাজে পরিস্থিতি ছিল তাতে সিরিজ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আমি আপনাদের নিশ্চিয়তা দিতে পারি সফরে যাওয়া, না যাওয়ার সঙ্গে ওই টাকার কোনোই সম্পর্ক নেই।”
রবার্টস আরও বলেন, “ইংল্যান্ডে যাওয়ার ব্যাপারে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার আপত্তি হলো এই যে বলা হচ্ছে সফর থেকে আর্থিকভাবে কোনো লাভ হবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের তা নিয়ে।
আমি মনে করি এটি ভুল। কারণ আমরা যে সুযোগ নিয়েছি তা অন্য কোনো দল তা করত বলে মনে হয় না। আমরা কি এমনিতেই ইংল্যান্ডকে ৩.৮ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৪০০ কোটি টাকা) ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি”।
ইংল্যান্ড পৌছে আপাতত ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকবে তারা। তারপর এক সপ্তাহ অনুশীলন করে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেবে ক্যারিবীয়রা।
৮ জুলাই সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। পরের দুই টেস্ট ১৬ ও ২৪ জুলাই হবে ম্যাচ ওল্ড ট্রার্ফোডে। সব টেস্টই হবে রুদ্ধদার স্টেডিয়াম ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে।
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪