করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাসের মতো ঘরবন্দী ক্রিকেটাররা। যারা সারাদিন মাঠবন্দী থাকে, তাদের জন্য ঘরবন্দী থাকাটা অনেক কঠিন। তাইতো নিজ গ্রামে গিয়ে নিজেকে ঘরবন্দী অবস্থায় রাখতে না পেরে পাড়ার বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত।
গতকাল ৯ জুন নিজ জেলা রাজশাহীর মতিহার থানার ভাল্লুকপুকুর ও কুখুন্ডির মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে কুখুন্ডির হয়ে খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খেলেন ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
গণমাধ্যমের মাধ্যমে তার খেলার খবরটা কানে যায় বিসিবির। এই নিয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, “সে খুবই বাজে করেছে। আমরা দেখব বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়।”
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করেন শান্ত। সারাবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, “বিষয়টা পুরোপুরিই ভুল। আমি আসলে করোনার কারণে গ্রামে থাকছি। শহরে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি বলেই গ্রামে এসেছি।
কারণ এখানে বাসার আশেপাশে খোলামেলা, চাইলে একটু হাঁটতে বেরুতে পারি। এবং করোনার যে পরিস্থিতি তাতে আমাদের এখানটা অনেক ভালো আছে। রাজশাহী শহরের বাসায় আমি বেশ কিছুদিন ছিলাম। ওখানে ভালো লাগছিল না বলেই গ্রামের বাড়িতে এসেছি।”
“আমি সিরিয়াস টাইপের খেলা খেলেছি বিষয়টা এমন না। আপনি নিশ্চই জানেন গ্রামে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলে। আমার ছোট বেলায় বাড়ির পাশে যেখানে যাদের সঙ্গে খেলতাম তারা সময় কটানোর জন্য খেলছিল।
তারা আমাকে অনুরোধ করে বলল, তুই খেললে আমাদের ভালো লাগত। তো আমি মাত্র আধাঘণ্টা খেলি এবং সেটা সামাজিক দূরত্ব মেনেই। বোলার বল করেছে আমি শুধু বাটিং করেছি। এই তো।”– যোগ করেন ৪ টেস্ট, ৫ ওয়ানডে এবং ২ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।
আর শান্তর এমন ভক্তব্য শুনে আকরাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, “এখন আর কি করার বলেন? যেহেতু সে সামাজিক দূরত্ব মেনে সময় কাটাতে টেনিস বলে আধাঘণ্টা খেলেছে এটা আর তেমন গুরুতর কি?”
সূত্রঃ স্পোর্টসজোন২৪