একের পর এক আত্মহত্যা ঘটে চলেছে । এর পেছনে কি কাজ করছে কোনো চেইন রিএকশন ??
নাকি আত্মহত্যার নামে চলছে সিরিয়াল কিলিং !!! ব্যাপার টা একটু হলেও ভাবনার সৃষ্টি করে মনে ।
ভি .এন.সি এর ছাত্রীর আত্মহত্যার পর এদিকে আবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপমান সইতে না পেরে লাভলী (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন সুলতানগঞ্জের মেকাপখান রোডের ৩২/২৮ বি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত লাভলী মোহাম্মদপুরের ইউসেফ স্কুলের মানবিক শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানায়। বাবা শেখ আফসের আলী একজন খুচরা ফল বিক্রেতা।
নিহতের বাবা বলেন, আমি এ বাসায় অনেক দিন ধরে ভাড়া থাকি। লাভলী প্রাইভেট পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় আসে। কিছুক্ষণ পর টয়লেটে যাবে বলে ঘর থেকে বের হয়। এর পর বাসার মালিকের বড় বোন আমাকে ডাক দেন। আমি সেখানে গেলে তাদের ঘরের মধ্যে লাভলী ও বাড়ির মালিক রাশেদার ভাগনে হীরাকে দেখতে পায়। এর পর দরজা খুলে হীরা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় আরও কয়েকজন জড়ো হয়। এর পর লাভলী তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
লাভলীর বাবা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে ওখানে নিজের ইচ্ছাতে যায়নি। কেউ পরিকল্পনা করে তাকে ওখানে নিয়ে দরজা বন্ধ করে রেখেছিল। আর এ কারণেই আমার মেয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।