মেয়ে এবং মেয়ের বান্ধবীকে মদ্যপান করানোর অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। এরপর মেয়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে মেয়ের বান্ধবীকে ধর্ষণ করায় বাবা বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে মেয়ে। ঘটনার পরে বান্ধবীর সঙ্গে থানায় গিয়ে নিজের বাবার বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিল সে।
সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ৫ জুলাই রাতে। গুরুগ্রামের বেলেয়ারের একটি অভিজাত আবাসনের নিজের প্রিয় বান্ধবীর ফ্ল্যাটে গিয়েছিল নির্যাতিতা। বর্তমানে সে আইনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় থেকেই ওই বান্ধবীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল কিশোরীর। বান্ধবীর বাবাও তার কাছে নিজের বাবার মতোই ছিল। নিজের প্রিয় বান্ধবীর ওই ফ্ল্যাট নির্যাতিতা কিশোরীর কাছে প্রায় নিজের দ্বিতীয় বাড়ির মতোই নিরাপদ আশ্রয় ছিল।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের মেয়ে এবং তার বান্ধবীকে বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যান। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে তিনি দুই কিশোরীকেই মদ্যপান করান।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছে, ফ্ল্যাটে ফিরে বান্ধবীর সঙ্গেই একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে সে। পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে তার বাবা। অভিযোগ, ভোর চারটে নাগাদ বান্ধবীর বাবা ওই ঘরে ঢুকে জোর করে তাকে টেনে নিয়ে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরে সে এসে নিজের বান্ধবীকে ঘুম থেকে তুলে নির্যাতনের কথা জানায়।
সকালবেলা নিজের বান্ধবীকে নিয়েই নিজের বাড়িতে ফেরে নির্যাতিতা কিশোরী। বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেও প্রিয় বান্ধবীরই পাশে দাঁড়ায় ওই কিশোরী। নির্যাতিতা কিশোরী, তার মায়ের সঙ্গে থানাতেও যায় সে।
বাবার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার সময়েও সেখানে উপস্থিত ছিল সে। লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা উল্লেখ করেছে, বাবা হিসেবে যাকে দেখত, সে-ই তার বিশ্বাসভঙ্গ করেছে।
তার আরও অভিযোগ, উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই নিজের মেয়ের এবং তাকে মদ্যপান করায় অভিযুক্ত। আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সেই সুযোগেই তার উপরে অত্যাচার চালায় তার বান্ধবীর বাবা।
অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই ফ্ল্যাট থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশে এবং বিদেশে ব্যবসা রয়েছে তার। ধৃতের চোদ্দ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। -সময় টিভি