গাছে বাঁধা স্বামী, সামনে স্ত্রী-মেয়েকে গণধর্ষণ!

আন্তর্জাতিক June 15, 2018 1,185
গাছে বাঁধা স্বামী, সামনে স্ত্রী-মেয়েকে গণধর্ষণ!

নারকীয় এই নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বিহারের পুলিশ-প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হয়েছে স্থানীয় থানার অফিসারকে। গাছে বাঁধা রইলেন স্বামী। তাঁর সামনেই গণধর্ষণ করা হল স্ত্রী এবং কিশোরী কন্যাকে। ভয়াবহ নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের গয়ায়। বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।


পাশবিক নির্যাতনের এই ঘটনাটি ঘটেছে পটনা থেকে প্রায় ১২৭ কিলোমিটার দূরে কনচ থানা এলাকায়। বাইকে করে নিজের স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে গুরারু বলে একটি জায়গা থেকে নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন ওই ব্যক্তি।


মাঝপথে আট থেকে ন’জনের একটি দুষ্কৃতী দল প্রথমে তাঁদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। এর পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে দু’হাজার টাকা ছিনতাই করে তারা। মহিলার গায়ে থাকা গয়নাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর পরই ওই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে রেখে তাঁর পয়তাল্লিশ বছর বয়সি স্ত্রী এবং চোদ্দ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।


ওই পরিবারটি ছাড়াও আরও দুই মোটরবাইক আরোহীরও সর্বস্ব লুঠ করে গাছে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাঁরাও এই নৃশংস নির্যাতনের সাক্ষী থাকেন। লুঠপাট এবং নির্যাতন চালিয়ে দুষ্কৃতী দলটি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে পুলিশে খবর যায়।


সিনিয়র সুপারইনটেনডেন্ট পদমর্যাদার এক পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে কুড়িজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে নির্যাতিতা মহিলা শনাক্ত করেছেন বলে খবর।


পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে অবশ্য ওই ব্যক্তি শুধুমাত্র স্ত্রীর গণধর্ষণের কথাই উল্লেখ করেছেন। তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, মেয়ের ভবিষ্যত এবং সম্মানের কথা ভেবেই সম্ভবত ধর্ষণের ঘটনা নথিভুক্ত করতে রাজি হননি বাবা।


এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কনচ পুলিশ স্টেশনের হাউজ অফিসার রাজীব রঞ্জনকে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পটনার ইন্সপেক্টর জেনারেল নাইয়ার হাসনাইন খানের দাবি, এই ঘটনাটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।


অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -অনলাইন