আল্লাহ তাআলা মানুষের পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের সমাজ বিনির্মাণে তা উম্মতের মাঝে তুলে ধরেছেন। তারপরও মানুষ এমন অনেক কাজ করে, যা তার অন্তরকে পরকাল বিমুখ করে দেয়। আর তাতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন।
আল্লাহ তাআলা ওই সব মানুষকে পছন্দ করেন না; যারা তার অপছন্দনীয় কাজ করে থাকে। যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকা মানুষের জন্য অপরিহার্য। কেননা যারা এ কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত, আল্লাহ তাদের অপছন্দ করেন। আর তারা হলো-
>> নামাজে অবহেলা করা। যে ব্যক্তি নামাজের ওয়াক্ত হওয়া সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করে। আল্লাহ তাআলা এ সব নামাজিদের জন্য শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন।
>> কুরআন তেলাওয়াতের সময় কথা বলা। আল্লাহর নির্দেশ হলো, যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তখন তা মনযোগসহকারে শোনা এবং চুপ থাকা।’ সুতরাং কুরআন তেলাওয়াতের সময় অযথা কথা বলা আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ।
>> রোজা অবস্থায় সহবাস করা। আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য রোজা ফরজ করেছেন। আবার এ ফরজ রোজা পালনে অন্য সময়ের বৈধ কাজ পানাহার ও হালাল স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন নিষিদ্ধ করেছেন। যারা রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে তাদের রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। আর তা আল্লাহর কাছে অনেক অপছন্দনীয় কাজ।
>> কবরস্থানে হাসাহাসি করা। কবরস্থান এমন এক জায়গা, যা মানুষকে মৃত্যুর কথা, পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়; অন্যায় থেকে বেচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং কবরস্থানে বসে খোশ-গল্প, হাসি-ঠাট্টা নয়; আল্লাহ তাআলা হাসি-ঠাট্টাকারীদের পছন্দ করেন না।
মানুষের উচিত
সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়া; কুরআন তেলাওয়াতের সময় মনযোগের সঙ্গে কুরআন শোনা ও চুপ থাকা; রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাসসহ যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা এবং কবরস্থানে বসে আড্ডা না দিয়ে পরকালের স্মরণে ইবাদত-বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ ও তার রাসুলের অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। -জাগোনিউজ২৪