জীবনে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন একটাই রাস্তা, যার নাম ‘গুগল’। কঠিন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য সবাই দ্বারস্থ হন এই সার্চ ইঞ্জিনের। ইয়ং জেনারেশন থেকে শুরু করে সব প্রজন্মই এর উপর নির্ভরশীল৷ তথ্য বলছে, মাত্র ‘০.০৩’ সেকেন্ডে একই ধরনের হাজারো উত্তর দেখায় সার্চ ইঞ্জিন।
গুগল হল এমন একটা জিনিস, যাকে ‘হ’ বললেই ‘হাওড়া’ বুঝে যায়। অর্থাৎ পুরো শব্দটা না লিখতেই সে যে কীভাবে বুঝে যায় যে আপনি ঠিক কি লিখতে চাইছেন। সার্চ অটোকমপ্লিট প্রেডিকশনটি কীভাবে কাজ করে?
সে বিষয়ে গুগল সার্চ অ্যাডভাইসার ড্যানি সুলিভান জানান, এই অটোকামপ্লিট রেজাল্টগুলো মূলত ‘ভবিষ্যৎবাণী’, পরামর্শ বা সাজেশন নয়৷ কোন ধরনের খোঁজ সার্চ ইঞ্জিনটির মাধ্যমে চলে সেটা দেখেই গুগল এই সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো স্থির করে ফেলে৷
শব্দের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা রাখা সাধারণ এবং প্রচলিত বিষয়গুলোই মূলত দেখায় এই ইঞ্জিনটি৷ গুগলের ভবিষ্যৎবাণী পরিবর্তিত হয় ব্যবহারকারীদের সার্চ বক্সে শব্দ খোঁজের ধরনের উপর নির্ভর করে৷ উদারহণস্বরূপ, একজন ইউজার যদি টাইপ করেন ‘সান ফা’৷ সার্চ বক্স দেখাবে ‘সান ফ্রানসিস্কো’ সম্পর্কিত তথ্যসমূহ৷
অটোক্লামপিট পলিসির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন তথ্য গুলিকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে সার্চ ইঞ্জিনটি থেকে৷ এর মধ্যে থাকতে পারে হিংসা উদ্রেককারী ও ক্ষতিকর বিষয়গুলি৷ গুগল স্পার্ম বলে চিহ্নিত বিষয়গুলিকে মুছে ফেলা সম্ভব এখানে৷ সুলিভান যোগ করেন, অটোক্লামপিট সার্চ প্রেডাকশনের ফল বিভিন্ন ডিভাইসে বিভিন্ন রকম হয়৷
ডেক্সটপ ইউজাররা যেখানে ১০ টি রেজাল্ট দেখতে পাবেন৷ সেখানে মোবাইল ব্যবহারকারীরা ৫ টি রেজাল্ট দেখতে পাবেন৷ সার্চ ইঞ্জিনটি অনুপযুক্ত অটোকামপ্লিট রেজাল্টের সংখ্যার পরিমানকে কমিয়ে দেয়৷
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭