বন্ধুর বাড়িতে তরুণী গণধর্ষণের শিকার

আন্তর্জাতিক February 15, 2018 2,222
বন্ধুর বাড়িতে তরুণী গণধর্ষণের শিকার

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গল্প-আড্ডার সাথে চলছিল মদ্যপানও। সেখানেই প্রায় বেহুঁশ অবস্থায় তরুণীকে চোখে পড়ে গিয়েছিল বাড়ির একজনের। তিনিই চেঁচামেচি জুড়ে দেন। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর যায় তরুণীর বাড়িতেও।


মঙ্গলবার রাতে ভারতের সোনারপুরের রথতলার ঘটনা। তরুণীর মা তার মেয়ের বন্ধু-সহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।


আটকরা হলেন- একই এলাকার উৎপল গায়েন, তমোজিৎ মিত্র ও অর্ঘ্য দাস। এর মধ্যে অর্ঘ্যের সাথে তরুণীর আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।


মঙ্গলবার রাতে পার্টিতে কী ঘটেছিল তা মেয়েটি স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেননি বলেও খবর। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে ওদের।


তরুণীর মায়ের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিনি খবর পান যে তার ছোট মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গেছে। তখন তিনি বড় মেয়েকে নিয়ে উৎপলের বাড়িতে যান। মায়ের অভিযোগ, ওই তিন যুবক তার মেয়েকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করেছেন। তিনি এ দিন আরও বলেন, আমার মেয়েকে ওই তিনজন খুনের চেষ্টা করেছিল। ওর মোবাইল ফোনও চুরি করা হয়েছে। মোবাইলটি পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ।


তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, বন্ধুদের সাথে বসে মদ্যপান করছিলেন ওই তরুণী। তার জেরেই হুঁশ হারিয়েছিলেন। উৎপলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মদ্যপান নিয়েই উৎপলের এক চাচা আপত্তি তোলেন। বেহুঁশ ওই তরুণীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তখন অর্ঘ্য পাল্টা চড়াও হন তার উপরে। এই গোলমালের জেরেই আশপাশের বাসিন্দারা জড়ো হন। মেয়েটির বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়।


তরুণীর মা জানান, বাড়ি ফিরে আসার পরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। স্থানীয় চিকিৎসকে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।


তথ্যসূত্রঃ বিডি প্রতিদিন