চুল পড়ার সমস্যায় কম বেশি সবাইকেই পড়তে হয়। নানা কারণেই চুল পড়তে পারে। আবহাওয়ার প্রভাব, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা কারণেই চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। চুল যাতে না পড়ে সেজন্য নানা চেষ্টাও থাকে আমাদের। চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে বিভিন্ন উপায়ে চুলের যত্ন নিয়ে থাকেন অনেকেই। চলুন জেনে নেয়া যাক চুল পড়া সমস্যা দূর করতে কিছু করণীয়।
চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার দীর্ঘদিনের। চুলকে শক্ত মজবুত করার জন্য প্রাচীন কালের বৈদ্যরা আমলকি ব্যবহার করার পরামর্শ দিতেন। আমলকি খুব ভালো কাজ করে তেলের সাথে। নারকেল তেলের সাথে আমলকির একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে পারেন ঘরেই।
মাথার চামড়াকে স্বাস্থ্যকর রাখতে ডিমের সাদা অংশের জুড়ি মেলা ভার। চুল পড়া রোধে ডিমের সাদা অংশের ঘরোয়া একটি প্যাক খুব ভালো উপকার দিতে পারে। ডিমের সাদা অংশের সাথে নারিকেল তেল ভালো মতো মিশিয়ে নিন। এরপর চুলের আগাগোড়া ভালো করে লাগিয়ে নিন। আধাঘণ্টা রেখে প্রোটিন যেমন মিল্ক সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে হালকা গরম পানিতে মাথা ধুয়ে নিন। এতে চুল পড়া দূর হবে তাই শুধু নয়, চুল অনেক মসৃণ আর নরম হবে। ম্যানেজ করতে আর খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।
এক লিটার নারকেল তেল ও আমলকি ১০/১২ টি নিন। পরিষ্কার একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। তাতে আমলকিগুলো ছেড়ে দিন। তেল ফুটে এলে আমলকির রসে তা কালো হয়ে আসবে। তখন চুলা থেকে তেল নামিয়ে নিন। কাচের বোতলে সংরক্ষণ করে এ তেল সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন। ভালো কোনো হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল আরো বেশি মজবুত হবে।
টক দইয়ের ব্যবহার চুলের যত্নে উপকারী। এর কারণ হলো এর দুগ্ধজাত প্রোটিন যা চুলের গোড়া মজবুত করে। টকদই চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিয়ে আধা ঘণ্টা পর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে নিন। এছাড়া টকদই খাওয়াও চুলের জন্য উপকারী হবে। তাই প্রতিদিন টকদই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চুলের যত্নে মেথিও একটি প্রাচীনতম উপাদান। সারারাত কিছু মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি মাথার চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন চুল মজবুত হয়ে উঠছে। এছাড়া মেথি বেটে নিয়ে সেই পেস্ট মাথায় লাগাতে পারেন। বাজারে মেথির গুঁড়া পাওয়া যায়। সেটাও পানিতে ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগাতে যায়। যে উপায়েই লাগান না কেন, ভালো মতো শ্যাম্পু করে তা ধুয়ে ফেলুন।