গাজরে প্রচুর পরিমণে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গাজরে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ ব্রণ হওয়া এবং চামড়া ঝুলে পড়া রোধ করে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ ত্বকের রোদে পোড়াভাব দূর করে সেই সঙ্গে ত্বকের অযাচিত ভাঁজ, কালো দাগ, ত্বকের রঙের অসামাঞ্জস্যতা দূর করে সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
০১. গাজর, লেবু, মধু ও অলিভ অয়েল
যা যা লাগবেঃ
- ২ টা ভালোভাবে ছিলে সিদ্ধ করে চটকানো গাজর।
- ১ চা চামচ ফ্রেস লেবুর জুস।
- ২ টেবিল চামচ মধু।
- ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল(যদি আপনার স্কিন অয়েলি হয় তাহলে অলিভ অয়েল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন)
সব উপাদান একসাথে সুন্দর মসৃণ পেস্ট বানিয়ে আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন। ৩০ মিনিট এভাবে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার এই ফেসমাস্ক ইউজ করেই দেখুন আপনার ত্বক উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
০২. গাজর, পেঁপে ও দুধের ফেসপ্যাক
যা যা লাগবেঃ
- ২ টেবিল চামচ গাজর পেস্ট
- ২ টেবিল চামচ পেঁপে পেস্ট।
- ১ টেবিল চামচ দুধ।
এই ৩ উপাদান এক সাথে মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম কুসুম গরম পানিতে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ইউজ করার কয়েক সপ্তাহ এর মধ্যে আপনি আপনার ত্বকের গ্লোর তারতম্য নিজেই লক্ষ্য করবেন।
০৩. গাজর ও মধুর ফেসপ্যাক
যা যা লাগবেঃ
- ১ টেবিল চামচ গাজরের জুস।
- ১ টেবিল চামচ মধু।
গাজরের জুস ও মধু বাটিতে ভালোভাবে নেড়ে একটি কটন বলের সাহায্যে আপনার মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ডাল ও ড্রাই স্কিনের জন্য ভালো। এই প্যাক আপনার ত্বক মশ্চারাইজ করার সাথে সাথেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
গাজরের প্যাক ও মাস্কের উপকারিতা
- গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করবে।
- গাজর ত্বকের মশ্চারাইজার ধরে রাখবে।
- গাজর ত্বকের কোষ পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
- গাজরের ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন ত্বককে উজ্জ্বল করে।