যে কোনো বিশেষ দিনে সাজের বারোটা বাজাতে পারে হঠাৎ ওঠা ব্রণ। তাই উৎসব-পার্বণে ব্রণ মুক্ত থাকতে আগেভাগেই সাবধান হোন। এজন্য শুধু ত্বকের যত্ন নয়, খাদ্যাভ্যাসেও নজর দিতে হবে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে উৎসবের আগে ব্রণ মুক্ত থাকার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
ত্বককে শ্বাস নিতে দিন: যে কোনো অনুষ্ঠানের আগে ওই সপ্তাহে মেইকআপ করা বাদ দিন অথবা যত পারুন কম মেইকআপ করুন। এতে ত্বক শ্বাস নিতে পারবে এবং ব্রণ কম হবে।
এরমধ্য দিয়ে ত্বক কেবল শ্বাস নিতে পারবে বা ব্রণ মুক্ত থাকবে তা নয় বরং অনুষ্ঠানে আপনি যে নানান ধরনের মেইকআপ ব্যবহার করবেন তা মানিয়ে যেতেও সাহায্য করবে।
এক্সফলিয়েশন থেকে দূরে থাকুন: সত্যি বলতে এক্সফলিয়েশন পদ্ধতি ত্বকের জন্য ভালো হলেও সেটা করতে হয় নির্দিষ্ট সময় পর পর। ঘন ঘন এক্সফেলিয়েশন করলে ত্বক সুন্দর হয়, মরা চামড়া দূর হয়। তবে এই পদ্ধতি উৎসব শুরু হওয়ার সপ্তাহের আগে বাদ দিন। কারণ ঘন ঘন এক্সফলিয়েশনের ফলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। বরং উৎসবের সপ্তাহে কেবল হালকা ফেইস ওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
ঠিকঠাক ময়েশ্চারাইজার: যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। তবে তা অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে।
ত্বকে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তা না হলে ত্বক তেল চিটচিটে হয়ে যায় এবং ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। দিনে দুবার ত্বক আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। এজন্য ময়েশ্চারাইজার খুবই ভালো।
তবে পরিচর্যায় টোনার ও ক্লেঞ্জার নিয়মিত ব্যবহার করা ত্বক সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়।
পরিষ্কার রাখা: সরাসরি মুখের সংস্পর্শের আসে এমন জিনিসগগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। তোয়ালে, বালিশের কভার অথবা মেইকআপের ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
তোয়ালে এবং বালিশের কভার সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করা ভালো। মুখের জন্য আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করা আরও ভালো। এইভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে মুখ জীবাণু মুক্ত থাকবে। ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
মিষ্টি এড়িয়ে চলুন: যে কোনো অনুষ্ঠানের আগে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ এসব খাবার খাওয়া হলে তা শরীরে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করে যা লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ফল, সবজি, শস্য, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদিকে অনুষ্ঠানের আগে মেনু হিসেবে বেছে নিন।
ক্যাফেইন: ক্যাফেইনজাতীয় খাবার বাদ দেওয়া কষ্টকর। তবে কফির বদলে গ্রিন টি পান করতে পারেন। উচ্চ অ্যান্টিঅক্সডেন্ট সমৃদ্ধ এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
আর্দ্র থাকা: ত্বক আর্দ্র রাখতে পানির মতো ভালো আর কিছুই কাজ করে না। তাই সবসময় সঙ্গে এক বোতল পানি রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর পানি পান করুন। প্রয়োজনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন যেন পানি খাওয়ার কথা ভুলে না যান। কিছু ফল বা পুদিনাপাতা পানিতে যোগ করুন। এতে পানি পান করা বেশ মজার হবে এবং তা ‘ডিটক্সিফায়ার’ হিসাবেও কাজ করবে।