আজকাল আধুনিক ছেলে মেয়েদের বিয়ে, বিয়ের আগে প্রেম, ভালোবাসা এবং তাদের সমাজিক যে ধ্যানধারণা তা ইসলামে অনুমোদন নেই। আজকাল ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে একে অপরকে বুঝার জন্য সিনেমা হলে বা পার্কে দুজন একা দেখা করা কথা বলাকে সাধারণ এবং আধুনিক মনে করে যা ইসলাম অনুমতি দেই না। আবার পালিয়ে বিয়ে করাও ইসলাম অনুমতি দেয় না।
রাসূল (সঃ) বলেছেন, “যে কোন মহিলা যদি নিজে নিজে বিয়ে করে ফেলে কোন যুবক বা পুরুষকে, তার অভিবাবকের অনুমতি না নিয়ে, তার ওই বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল”।
সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, অভিবাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ জায়েজ নয় বা হবে না। ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসার অনুমতি নাই। যারা আগে প্রেম করে ফেলেছেন তাঁরা কি করবেন? এখন ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন কি না?
ওলামাদের মতে, প্রথমত আপনাকে তওবা করতে হবে। অবৈধ সম্পর্কের জন্য আপনাকে তওবা করে অনুতপ্ত হতে হবে এবং সম্পর্কটাকে ওখানে শেষ করতে হবে। এর পর আপনি ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত প্রস্তাব দিয়ে নিয়ম মাফিক বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। বিয়ের জন্য ইসলামে চারটা জিনিসকে প্রাধান্য নিয়েছে।
(১) মেয়ের সৌন্দর্য দেখা। (২) মেয়ের বাবার অর্থ সম্পদ কত তা দেখা। (৩) মেয়ের বংশ পরিচয় দেখা। (৪) ভালো আমল এবং ভালো তাকওয়া। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে ইসলামে গুরুত্বপূর্ণ হলে চতুর্থ টা ভালো আমল এবং ভালো তাকওয়া।
বেশির ভাগ মানুষ প্রথম তিনটিকে বেশি প্রাধন্য দিয়ে থাকে আর চতুর্থটাকে গুরুত্ব দেয়না।
কিন্তু ইসলামে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং উত্তম হল চতুর্থটা ভালো আমল এবং ভালো তাকওয়া। পারিবারিক ভাবে ঠিক হওয়া বিয়েতে ছেলে মেয়ে বিয়ের সময় নির্ধারন হওয়ার পর, বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার আগে ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে, এটা কেও ইসলাম অনুমতি দেয়না।
কিন্তু ইসলাম আপনার জন্য সুযোগ রেখেছেন, যে আপনি আর্দ করে ফেলতে পারেন। আর্দের ফলে ছেলে মেয়ে স্বামী-স্ত্রীতে পরিনত হয় ফলে তাদের প্রেম ভালোবাসায় বা কথা বলা দেখা করায় কোন বাধা আসেনা। স্বামী-স্ত্রীর প্রেম ভালোবাসা একটি ইবাদাত। ইসলামের এতো সুন্দর বিধান বা সুযোগ থাকার পরও কেন বিয়ের অনুষ্ঠান বা অনিমার জন্য অপেক্ষা করবেন।