১) একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ গড়ে দিনে সাত বার প্রস্রাব করেন।
২) গড়ে কতক্ষণ ধরে প্রস্রাব হওয়া উচিত জানেন? ৭ সেকেন্ড ধরে।
৩) একসঙ্গে কতটা প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে একজনের মূত্রথলি? ৩০০-৫০০ মিলি।
৪) রোমানরা প্রস্রাব দিয়ে মুখ ধুতেন। কেন জানেন? প্রস্রাবে অ্যামোনিয়া থাকে, তাতে দাঁত একেবারে দুধ-সাদা হয়।
৫) প্রস্রাবে ৩,০০০টি উপাদান থাকে।
৬) প্রস্রাব থেকে এক সময়ে কামানে ব্যবহার করার বারুদ তৈরি হত।
৭) মধ্যযুগে ইউরোপে জামাকাপড় তৈরিতে প্রস্রাবের ব্যবহার হত।
৮) ঘাড়ের কাছে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে প্রস্রাব হয় না? জানেন একে কী বলে? প্যারাওরেসিস বা প্রস্রাব-লজ্জা।
৯) রোমান সম্রাট নিরো প্রস্রাবের উপরে কর বসিয়েছিলেন। রোমে একসময়ে প্রস্রাব খুব মহার্ঘ হয়ে ওঠে। বণিকরা বা়ড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রস্রাব কিনতেন। নিরো এই সুযোগ নিয়ে রাজকোষ স্ফীত করেছিলেন।
১১) সুইমিং পুলে যান। পানি থেকে জোরালো ক্লোরিনের গন্ধ পান? কী ভাবছেন, খুব পরিস্রুত পানি? জেনে রাখুন, যত বেশি ক্লোরিনের গন্ধ, তত বেশি প্রস্রাব মিশেছে পানিতে।
১২) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মোজা বা রুমাল নিজেদের প্রস্রাবে ভিজিয়ে নিতেন কানাডার জওয়ানরা। তার পরে তা ভাল করে বেঁধে নিতেন মুখে। ব্যবহার করা হত গ্যাস-মাস্ক হিসেবে। ক্লোরিন-গ্যাসের ব্যবহার করা হত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। সেই ক্লোরিনকে নিউট্রালাইজ করত প্রস্রাবের অ্যামোনিয়া।
১৩) রোমে একসময়ে মহিলারা বিষাক্ত তারপিন তেল খেতেন। কেন জানেন? যাতে প্রস্রাব সুগন্ধী হয়।
১৪) দিনের শুরুর, অর্থাৎ প্রথম প্রস্রাবটিতে সবথেকে বেশি অ্যাসিড থাকে।